করোনা শনাক্ত ১০ শতাংশের ওপরে, মোট রোগী ১৬ লাখ ছাড়াল

করোনাভাইরাসের টিকা নিতে কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের লম্বা সারি। সাউথপয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চৌধুরীপাড়া, মালিবাগ, ঢাকা, ১২ জানুয়ারি
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৯১৬ জন হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ লাখ ছাড়িয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমিত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার বেড়ে ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।

আজ বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ২৪ হাজার ৯৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ওই সময় রোগী শনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ৪৫৮ জন। সে হিসাবে এক দিনের ব্যবধানে দেশে করোনা শনাক্ত বেড়েছে ৪৫৮ জন। আগের দিন করোনায় মৃত্যু হয়েছিল দুজনের। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুও বেড়েছে।

কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার বাড়ছে। করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে গত বছরের মাঝামাঝি দেশে করোনায় মৃত্যু, রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার বেড়েছিল। তবে আগস্টে দেশব্যাপী করোনার গণটিকা দেওয়ার পর সংক্রমণ কমতে থাকে।

গত ডিসেম্বরের প্রথম দিকেও দেশে করোনা শনাক্তের হার ১ শতাংশের ঘরেই ছিল। তবে ডিসেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে এসে সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। গত মাসের শেষ দিকে যেখানে দৈনিক রোগী শনাক্ত ৫০০–এর ঘরে ছিল, সেখানে ধারাবাহিকভাবে বেড়ে এই সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে যায় গত সোমবার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও দুজন নারী। তাঁদের তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে, আরেকজনের চট্টগ্রাম বিভাগে।

২০২০ সালের মার্চে বাংলাদেশে প্রথম করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে মোট করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হয়েছে ১৬ লাখ ১ হাজার ৩০৫ জন। সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ১১১ জনের। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৬৫৩ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৬৬ জন সুস্থ হয়েছেন।

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এরই মধ্যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও সমাবেশ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। গণপরিবহনেও অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।