গ্যাভি কোভেক্স থেকে প্রায় ৭ কোটি টিকা পাবে বাংলাদেশ

করোনার টিকা
রয়টার্স ফাইল ছবি

গ্যাভি–কোভেক্স ফ্যাসিলিটি থেকে করোনাভাইরাসের ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা পাবে বাংলাদেশ। আগামী বছরের মধ্যে এই টিকা পাওয়ার আশার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

প্রতিটি টিকার জন্য ১ দশমিক ৬ ডলার থেকে ২ ডলার করে দিতে হবে। বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকা সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ হলো গ্যাভি–কোভেক্স ফ্যাসিলিটি।

আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক অন্যান্য হালনাগাদ তথ্য অবহিতকরণ’ সভায় এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জানানো হয়, ন্যাশনাল ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট প্ল্যান তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে গ্যাভির টিকা সরবরাহ করা শুরু হবে।

বাংলাদেশ এই সময়ের মধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখবে। প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া আগামী মাস থেকে দেশের ১০টি জেলায় কোভিড-১৯ শনাক্তে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চালু করা হবে।

আজকের সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর মো. শামসুল হক টিকা সংগ্রহে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গত ৯ জুলাই বাংলাদেশ গ্যাভির (গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমুনাইজেশন) কাছে টিকা পাওয়ার আগ্রহের কথা জানায়। গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়ে গ্যাভি জানায় বাংলাদেশ তাদের টিকা পাওয়ার যোগ্য।

মো. শামসুল হক জানান, গ্যাভি সব দেশকে মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য টিকা দেবে। বাংলাদেশ ৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষের জন্য ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা পাবে (একজনের জন্য দুটি করে ডোজ)। আগামী ৭ ডিসেম্বর থেকে পরিকল্পনা জানানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে, ওই দিনই বাংলাদেশ তা করার চেষ্টা করবে।

আজকের সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, যে টিকাই আগে আসে, সেটা যেন পাওয়া যায়, সে জন্য কাজ চলছে। গ্যাভি ভ্যাকসিন ছাড়াও বাংলাদেশ সরকার সরাসরি ভ্যাকসিন কেনার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে।

অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কিনতে খরচ পড়বে ৪ ডলার করে আর পরিবহন খরচ পড়বে আরও ১ ডলার। টিকা কেনার জন্য অর্থ বিভাগ প্রায় ৭৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এর বাইরে চীনের সিনোভ্যাক, রাশিয়ার স্পুতনিক-৫, স্যানোফি, ফাইজারের সঙ্গেও যোগাযোগ আছে।