চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত ৩০.৪৬%

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

চট্টগ্রামে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৯৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৪৬। একই সময়ে চট্টগ্রামে করোনায় একজন মারা গেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো করোনা–সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৮ হাজার ৩৭৬। মোট মারা গেছেন ১ হাজার ৩৪২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৩ হাজার ৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে নগরের ৭৫৭ জন। উপজেলার ১৭৩ জন। মারা যাওয়া ব্যক্তি শহরের বাসিন্দা।

আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৩ হাজার ১৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ৯৮৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৩১।

চট্টগ্রামে ২০২০ সালের ৩ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। একই বছরের ৯ এপ্রিল করোনায় চট্টগ্রামে প্রথম কারও মৃত্যু হয়।

২০২০ সালের মার্চে বাংলাদেশে প্রথম করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৬ লাখ ৪২ হাজারের বেশি। সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজারের বেশি।

দেশে এখন করোনার সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। এমন দ্রুত সংক্রমণ আগে দেখা যায়নি। মাত্র ৯ দিনের ব্যবধানে দেশে দৈনিক করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ থেকে সাড়ে ৯ হাজারে পৌঁছেছে। প্রায় দুই বছর ধরে চলা করোনা মহামারিতে দেশে এর আগে কম সময়ে এত দ্রুত রোগী বাড়তে দেখা যায়নি।

গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত দেশে করোনা রোগী শনাক্ত ১ শতাংশের ঘরে ছিল। গতকাল বুধবার তা ছিল ২৫ শতাংশের বেশি।

জনস্বাস্থ্যবিদ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য আবু জামিল ফয়সাল প্রথম আলোকে বলেন, করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের কারণে এখন দ্রুত সংক্রমণ বাড়ছে। হাসপাতালে যাঁরা ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরা করোনার ডেলটা ধরনে বেশি আক্রান্ত। এর মানে হচ্ছে অমিক্রনের পাশাপাশি ডেলটা ধরনও সক্রিয়।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন, দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ মাত্র শুরু হয়েছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হবে।