বিধিনিষেধ আরও এক মাস বাড়ল

কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে স্বাস্থ্যবিধি মানতে সচেতনতা বাড়াতে হ্যান্ডমাইকে আহ্বান জানাচ্ছেন এক স্বেচ্ছাসেবী। দড়টানা মোড়, যশোর
ছবি: এহসান-উদ-দৌলা

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকায় চলমান বিধিনিষেধ আরও এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এবার বিধিনিষেধে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।

এখন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস খোলা থাকবে। এত দিন শুধু জরুরি সেবা–সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো খোলা রাখতে বলা হয়েছিল। তবে প্রায় সব অফিসই চলছিল।

বর্তমানে দেশের সীমান্তবর্তী ও আশপাশের জেলাগুলোতে করোনার ডেলটা ধরন ছড়িয়ে পড়েছে। এসব জেলায় জেলা প্রশাসকেরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মিলে কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউনসহ কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন।

নতুন বিধিনিষেধের বিষয়ে আজ বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আগের ঘোষণা অনুযায়ী চলমান বিধিনিষেধ আজ মধ্যরাতে শেষ হওয়ার কথা ছিল। এখন আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ চলবে।

নতুন বিধিনিষেধেও আগের মতোই সব পর্যটনস্থল, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান (বিবাহোত্তর সংবর্ধনা, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রি বা সরবরাহ করতে পারবে এবং আসনসংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা দিতে পারবে। অর্থাৎ হোটেলে বসে খাওয়া যাবে।

সব ধরনের গণপরিবহন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে। এক মাসের বেশি সময় পর গত ২৪ মে থেকে সরকারের এ নির্দেশনা অনুযায়ী সব ধরনের গণপরিবহন চলছে। তবে করোনার প্রকোপ থাকায় রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি এলাকায় গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

দেশে এখন করোনাভাইরাসের ‘ডেলটা ভেরিয়েন্টের’ সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়েছে। সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় তা ছড়িয়ে পড়েছে। এ জন্য সারা দেশে চলমান বিধিনিষেধের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় বিশেষ ‘লকডাউন’ চলছে। করোনার এই ধরনের (ডেল্টা ভেরিয়েন্টের) কারণেই ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বহুগুণে বেড়েছে।

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকার এ বছর প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। পরে তা আরও ২ দিন বাড়ানো হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। পরে তা আরও ৭ দফা বাড়ানো হয়েছিল। এবার একসঙ্গে এক মাস বাড়ানো হলো বিধিনিষেধ।