শেরপুরে ৪২৭ জনের করোনা শনাক্ত

শেরপুরের শ্রীবরদীতে বাবার পর মেয়ের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ১২ বছর বয়সের মেয়েটি শ্রীবরদী উপজেলা সদরের উত্তর বাজার এলাকার একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী।
গত বুধবার মেয়েটির বাবার করোনা পজিটিভ হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষায় মেয়েটির কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। এই মেয়েসহ গতকাল শনিবার জেলায় আরও ছয়জনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে শেরপুর সদর ও শ্রীবরদীতে দুজন করে এবং ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় একজন করে রয়েছেন। সব মিলিয়ে জেলায় করোনায় সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ৪২৭ জন। এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৩৪৫ জন। আর মারা গেছেন আটজন।
গতকাল রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব থেকে পাঠানো প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জেলার সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানান।

জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন শ্রীবরদী উপজেলার একজন শিক্ষক ও ঝিনাইগাতী সদর বাজারের ৮০ বছর বয়সী এক কৃষক। অন্য ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা।
সিভিল সার্জন আনওয়ারুর রউফ বলেন, শেরপুরে করোনার বিস্তার উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে। গত ৫ এপ্রিল জেলায় প্রথম দুই নারীর করোনা শনাক্তের পর প্রায় পাঁচ মাসে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২৭। এর মধ্যে চলতি আগস্ট মাসেই সংক্রমিত হয়েছেন ১১৫ জন। যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না করায় সামাজিক ও পারিবারিক সংস্পর্শের কারণেই এখন মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছেন। তাই এর বিস্তার রোধে সবাইকে সচেতন হওয়া, মাস্ক ব্যবহারসহ কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গতকাল পর্যন্ত জেলায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে শেরপুর সদরে ২১১, নকলায় ৬৪, নালিতাবাড়ীতে ৭৭, ঝিনাইগাতীতে ৩৭ ও শ্রীবরদী উপজেলায় ৩৮ জন রয়েছেন। সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জন চিকিৎসকসহ ৬০ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও ৩৯ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।