১১ জেলায় প্রতি ১০ লাখে দুই হাজারের বেশি করোনা রোগী

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১১ জেলায় জনসংখ্যা বিবেচনায় করোনায় আক্রান্তের হার প্রতি ১০ লাখে দুই হাজারের বেশি। অর্থাৎ এসব জেলায় ইতিমধ্যে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে ২ হাজারের বেশি মানুষের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে।

আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি রাজধানী ঢাকায়। এখানে প্রতি ১০ লাখে ৩৪ হাজার ৬৮৮ জন আক্রান্ত। আর আক্রান্তের হার সবচেয়ে কম নেত্রকোনা জেলায়, প্রতি ১০ লাখে ৩১৩। বাংলাদেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে গত সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফরিদপুর ও চট্টগ্রামে প্রতি ১০ লাখে আক্রান্তের হার ৩ হাজারের বেশি। আর আটটি জেলায় আক্রান্তের হার দুই হাজার থেকে তিন হাজারের মধ্যে। এই জেলাগুলো হলো রাজবাড়ী, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, কক্সবাজার, খুলনা, বগুড়া ও সিলেট। এর বাইরে ২২টি জেলায় আক্রান্তের হার প্রতি ১০ লাখে ১ থেকে ২ হাজারের মধ্যে।

ফরিদপুর ও চট্টগ্রামে প্রতি ১০ লাখে আক্রান্তের হার ৩ হাজারের বেশি। আর আটটি জেলায় আক্রান্তের হার দুই হাজার থেকে তিন হাজারের মধ্যে। এই জেলাগুলো হলো রাজবাড়ী, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, কক্সবাজার, খুলনা, বগুড়া ও সিলেট।

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষে চীনের উহানে প্রথম এই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। ক্রমে সেটা মহামারি আকারে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের ঘোষণা দেওয়া হয় ৮ মার্চ। মে মাসের শেষ দিক থেকে সংক্রমণ তীব্র আকার ধারণ করে। আগস্টের শেষ থেকে সংক্রমণ নিম্নমুখী হয়েছিল। নভেম্বরে গিয়ে আবার ঊর্ধ্বমুখী ধারা দেখা দেয়। অবশ্য কয়েক দিন ধরে সংক্রমণ শনাক্তের হার কমতির দিকে। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১০ শতাংশের নিচে।

গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ১৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৩১৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। দেশে এখন পর্যন্ত মোট ৫ লাখ ৩ হাজার ৫০১ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৭ হাজার ৩২৯ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯২৯ জন।

জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, টিকা না আসা পর্যন্ত সংক্রমণ প্রতিরোধের মূল উপায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। বিশেষ করে বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক পরা শতভাগ নিশ্চিত করা, কিছু সময় পরপর সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার বিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।