গুগল ও অ্যাপলের কন্টাক্ট ট্র্যাকিং সিস্টেম কেউ পাবে কেউ পাবে না

গুগল ও অ্যাপল কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ তৈরি করছে। ছবি: রয়টার্স
গুগল ও অ্যাপল কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ তৈরি করছে। ছবি: রয়টার্স

বিশ্বের বৃহত্তম দুটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল ও অ্যাপল  একজোট হয়ে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ট্র্যাকিং সিস্টেম তৈরি করছে। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে তাদের এ সিস্টেম আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে কাজ করবে। এর মাধ্যমে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা অন্য ব্যক্তিদের শনাক্ত করা যাবে। বিশ্বের প্রায় ২০০ কোটি স্মার্টফোনে এ সিস্টেমটি পাওয়া যাবে বলে বলে মনে করছেন এ খাতের গবেষকেরা।

যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক দৈনিক পত্রিকা ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিস্টেমটি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের করোনভাভাইরাস সংক্রমিত কারও সংস্পর্শে এসেছে কি না, তা ট্র্যাক করার অনুমতি দেবে। যা কোভিড -১৯ আরও ছড়িয়ে পড়া থেকে রোধ করতে সহায়তা করবে।

তবে গুগল ও অ্যাপলের এ সিস্টেম ব্যবহারের সুবিধা পাবে না বিশ্বের লাখ লাখ মোবাইল ব্যবহারকারী। কারণ, সিস্টেমটি ব্যবহারের জন্য  নির্দিষ্ট ওয়্যারলেস চিপ লাগে, যা লাখো পুরোনো মডেলের স্মার্টফোনে নেই। অর্থাৎ, পুরোনো ফোন ব্যবহারকারী এ সেবার আওতার বাইরে থাকবে এবং তাদের মধ্যে সংক্রমণ আশঙ্কা থাকবে।

অ্যাপল ও গুগলের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথ প্রচেষ্টায় যে সিস্টেম তৈরি করছে তা হালনাগাদ অপারেটিং সিস্টেমে ও ব্লুটুথ প্রযুক্তিনির্ভর। এতে সরকার ও স্বাস্থ্য সেবাদাতা সংস্থাগুলোর পক্ষে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে। এতে ব্যবহারকারীর প্রাইভেসি ও অন্য নিরাপত্তাব্যবস্থাও ঠিক থাকবে। এতে যুক্ত থাকবে অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এপিআই) ও অপারেটিং সিস্টেম-লেভেল প্রযুক্তি, যা কন্টাক্ট শনাক্তকরণ সহজ করবে।

কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের গবেষকেরা বলছেন, ব্লুটুথ লো এনার্জি চিপ নির্ভর সিস্টেমটি ব্যাটারি লাইফ নষ্ট না করে ডিভাইসের মধ্যে সান্নিধ্য শনাক্ত করতে পারে। এখনকার এক চতুর্থাংশে ফোনে এ ধরনের চিপ নেই।এর বাইরে ১৫০ কোটি মানুষ বেসিক ফিচার ফোন ব্যবহার করছেন। তারাও অ্যাপল ও গুগলের কন্টাক্ট শনাক্তকরণ পদ্ধতির সুবিধা পাবে না।

তবে বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, নতুন কন্টাক্ট শনাক্তকরণ পদ্ধতি চালু হলে করোনা বিস্তার ঠেকাতে তা বড় ধরনের সাহায্য হবে।