টিকা কূটনীতিতে চীনের বড় জয়, সরবরাহে সংশয়

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে চীনের সিনোফার্মের টিকা। অচিরেই দেশটির সিনোভ্যাকের টিকাও অনুমোদন পেতে পারে। করোনা মহামারির এ যুগে টিকা কূটনীতিতে এটা হতে যাচ্ছে চীনের বড় জয়। কিন্তু চীনের নিজের জন্যই প্রয়োজন প্রচুর টিকা। সেই চাহিদা মিটিয়ে দেশটি কী পরিমাণ টিকা বাইরের দেশগুলোতে দিতে পারবে, এখন সেটা জানতে চাইছে বিশ্ব। এ নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস–এর প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে গত শুক্রবার।

  • সিনোফার্মের টিকার কার্যকারিতা ৭৮ দশমিক ১ শতাংশ বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেষ্টা পর্ষদ।

  • চলতি সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের সিনোভ্যাকের টিকারও অনুমোদন দিতে পারে।

  • সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক দিনে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ ডোজ টিকা উৎপাদন করছে।

  • দেশীয় টিকাদানের লক্ষ্য অর্জনে চীন দিনে ১ কোটি করে টিকা প্রয়োগ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

  • জুনের শেষ নাগাদ দেশটির ১৪০ কোটি নাগরিকের কমপক্ষে ৪০ শতাংশকে টিকা দিতে চায় কর্তৃপক্ষ।

এক নারীকে চীনের সিনোফার্মের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা দেন এক স্বাস্থ্যকর্মী। গতকাল শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর একটি টিকাদানকেন্দ্রে
ছবি: এএফপি

চীনের তৈরি করোনাভাইরাসের একটি টিকার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ অনুমোদন এমন সময়ে এল, যখন ধনী দেশগুলো করোনার টিকার মজুত গড়ছে। করোনা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদক দেশ ভারত টিকার রপ্তানি বন্ধ রেখেছে। রক্ত জমাট বাঁধার দু–একটি ঘটনা ঘটার পর অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। কিছু দেশ এ দুই টিকার প্রয়োগ স্থগিত রেখেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ পরিস্থিতিতে চীনের টিকার অনুমোদনে বিজ্ঞানভিত্তিক উদীয়মান পরাশক্তি হিসেবে দেশটির মর্যাদা আরও বাড়িয়েছে।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনটি এমন সময় এসেছে, যখন চীনেই টিকার সংকট তৈরি হওয়ার আশঙ্কার কথা জানাচ্ছেন দেশটির কর্মকর্তারা। কাজেই দেশটি বৈশ্বিক চাহিদা অনুযায়ী টিকা কতটা সরবরাহ করতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

সিনোফার্মের টিকার অনুমোদনের সুবিধা

চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের উদ্ভাবিত ও প্রস্তুতকৃত করোনাভাইরাসের টিকা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পায় গত শুক্রবার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এ অনুমোদনের মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলো টিকার আরেকটি নির্ভরযোগ্য বিকল্প পেল।

চীনের সিনোফার্মের টিকা নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে। টিকাটির মানবদেহে পরীক্ষার ফলাফলের তথ্য সিনোফার্ম ও চীনের সরকার সেভাবে প্রকাশ না করায় এ সংশয়ের সৃষ্টি হয়। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনে সে সংশয় অনেকখানিই কেটে গেল। সংস্থাটি বলেছে, সিনোফার্মের উদ্ভাবিত করোনার এ টিকা নিরাপদ ও কার্যকর।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ অনুমোদনে এখন সংস্থাটির কোভ্যাক্স কর্মসূচিতেও সিনোফার্মের টিকা অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে। বিশ্বজুড়ে সমহারে করোনার টিকা বণ্টনে গত বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ কর্মসূচি শুরু করে। সিনোফার্মের টিকা কোভ্যাক্স কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অর্থ হলো বিশ্বজুড়ে আরও বেশি মানুষ, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মানুষ এ টিকা পাবে।

এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যপণ্য প্রাপ্তিবিষয়ক সহকারী মহাপরিচালক মারিয়াঙ্গেলা সিমাও বলেছেন, ‘যেসব দেশ নিজেদের স্বাস্থ্যকর্মী ও জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় কোভিড–১৯–এর টিকা চাইছে, এ টিকার (সিনোফার্মের) অনুমোদনে সেসব দেশে দ্রুততার সঙ্গে টিকার সরবরাহ ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে।’

এতেই শেষ নয়, চলতি সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের আরেকটি কোম্পানি সিনোভ্যাকের উদ্ভাবিত করোনার টিকার অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানাবে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এ টিকা অনুমোদন পেলে বিশ্বজুড়ে টিকার সরবরাহ আরও বাড়বে।

যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউটে টিকার বৈশ্বিক তথ্য বিশ্লেষণ করেন আন্দ্রেয়া টেইলর। তাঁর মতে, কোভ্যাক্স কর্মসূচিতে চীনের দুই টিকার অন্তর্ভুক্তি হবে বড় একটি পদক্ষেপ। তিনি বলেন, নিম্ন ও নিম্ন–মধ্যম আয়ের দেশগুলোর পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ। এসব দেশে টিকা সরবরাহ করা জরুরি। চীন থেকে যদি দুটি টিকার সরবরাহ আসে, তাহলে আগামী কয়েক মাসে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা সম্ভব।

টিকার সরবরাহ নিয়ে সংশয়

তবে চীনের এ জয়জয়কার মুহূর্ত ক্ষণস্থায়ী হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। চীন অবশ্য দাবি করেছে, তারা চলতি বছরের শেষ নাগাদ ৫০০ কোটি ডোজ করোনার টিকা উৎপাদন করতে পারবে। কিন্তু চীনের কর্মকর্তারা বলছেন, নিজেদের জনগোষ্ঠীর সবাইকে টিকা দিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক টিকা উৎপাদনেই হিমশিম খাচ্ছে দেশটির প্রতিষ্ঠানগুলো।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক অলাভজনক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের জ্যেষ্ঠ ফেলো ইয়ানঝৌ হুয়াং বলেন, ‘এই সময়টা চীনের টিকা কূটনীতির সোনালি মুহূর্ত হওয়া উচিত। কিন্তু সমস্যা হলো এই সময়ই চীনে টিকার সংকট চলছে। কাজেই টিকার বৈশ্বিক সরবরাহের প্রশ্নে আমার মনে হয় না আগামী দু–তিন মাসের মধ্যে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি ঘটবে।’

চীনে টিকা কর্মসূচি জোরেশোরে শুরু হতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। এর একটি কারণ হলো, দেশটির সরকার রপ্তানিতে মনোযোগী ছিল বেশি এবং এর নাগরিকেরা টিকা নেওয়ায় প্রথম দিকে ততটা আগ্রহী ছিলেন না। তবে এখন চীনে টিকা কর্মসূচি জোরদার করা হচ্ছে এবং আগামী জুনের শেষ নাগাদ দেশটির ১৪০ কোটি নাগরিকের কমপক্ষে ৪০ শতাংশকে টিকা দিতে চায় কর্তৃপক্ষ।

এদিকে সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক দিনে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ ডোজ টিকা উৎপাদন করছে। এর মধ্যে দেশীয় টিকাদানের লক্ষ্য অর্জনে চীন দিনে ১ কোটি করে টিকা প্রয়োগ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বেইজিংভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ব্রিজ কনসাল্টিং হিসাব করে জানিয়েছে, অন্যান্য দেশের চাহিদা মেটাতে সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাককে অতিরিক্ত ৫০ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদন করতে হবে।

কাজেই একদিকে স্থানীয় পর্যায়ে টিকার সংকট, অন্যদিকে চীনের টিকা রপ্তানির উদ্যোগ পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। টিকা সরবরাহব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট অন্য কোম্পানি, যেমন সিরিঞ্জ, সিসি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হচ্ছে।

সিনোভ্যাকের মুখপাত্র পিয়ারসন লিউ বলেন, ‘পুরো বিশ্বেই টিকার সংকট চলছে। চাহিদা অনেক অনেক বেশি।’

স্থানীয় পর্যায়ে টিকার ঘাটতি মেটাতে চীনা কর্মকর্তারা এখন বলছেন, যেসব নাগরিক টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাঁরা পরবর্তী ডোজের জন্য দুই মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করেত পারেন। অথবা প্রথম ডোজ যে ধরনের টিকা ছিল, অন্য কোম্পানির ওই একই ধরনের টিকা নিতে পারেন। ওই কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী জুন নাগাদ টিকার এ সংকট অনেকটাই কাটবে।

চীনে উদ্ভাবিত টিকার কার্যকারিতা

এদিকে চীন এরই মধ্যে ৮০টির বেশি দেশে নিজেদের উদ্ভাবিত টিকা সরবরাহ করেছে। তবে এসব টিকা নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে। এর একটি কারণ, চীনা কোম্পানিগুলো ও দেশটির সরকার টিকাগুলোর মানবদেহে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফল প্রকাশ না করায় বিজ্ঞানীরা স্বাধীনভাবে এগুলোর কার্যকারিতা নিরূপণ করতে পারেননি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি উপদেষ্টা পর্ষদ গত সপ্তাহে ওই তথ্য প্রকাশ করেছে।

সিনোফার্ম টিকাটি উদ্ভাবন করেছে বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টসের সঙ্গে যৌথভাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই উপদেষ্টা পর্ষদ জানিয়েছে, টিকাটির কার্যকারিতা ৭৮ দশমিক ১ শতাংশ। সিনোভ্যাকের টিকার কার্যকারিতা মানবদেহে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় দেশভেদে ৫০ থেকে ৮৪ শতাংশ পর্যন্ত পাওয়া গেছে। দুটো টিকাই উদ্ভাবন করা হয়েছে রাসায়নিক প্রয়োগ করে ভাইরাসকে দুর্বল করে অথবা মেরে ফেলে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেষ্টা পর্ষদ বলেছে, পরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে সিনোফার্মের টিকা কোভিড–১৯ প্রতিরোধে ভালো কাজ করেছে। তবে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে টিকাটির কার্যকারিতা ৬০ শতাংশের কম। সিনোভ্যাকের টিকার ক্ষেত্রেও একই ধরনের কার্যকারিতার তথ্য পেয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেষ্টা পর্ষদ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, সংস্থাটির পরীক্ষায় ষাটোর্ধ্ব খুব কম স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেওয়ায় প্রবীণদের শরীরে সিনোফার্মের টিকার কার্যকারিতা সেভাবে নিরূপণ করা যায়নি। তবে সংস্থাটি বলেছে, প্রাথমিক তথ্য বলছে, প্রবীণদের ক্ষেত্রেও টিকাটি প্রয়োগে সুরক্ষা পাওয়া যেতে পারে। কাজেই এ গোষ্ঠীকে এ টিকা দেওয়ায় কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করবে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

তবে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের যে নতুন নতুন ধরনের (স্ট্রেইন) উদ্ভব ঘটছে ও ছড়াচ্ছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে সিনোফার্মের টিকা কতটা কার্যকর, সে বিষয়ে খুব কম তথ্যই পাওয়া গেছে। আর তা ছাড়া ফাইজার–বায়োএনটেক ও মডার্নার উদ্ভাবিত টিকা দুটির চেয়ে চীনের দুই প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত টিকা দুটি সার্বিকভাবে কম কার্যকর।

চীনের টিকা কূটনীতি

এসব সত্ত্বেও চীনা নেতাদের কাছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকার অনুমোদন সম্মানেরই। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন, তাঁর দেশে উদ্ভাবিত করোনার টিকা বৈশ্বিক জনস্বার্থে ব্যবহার করা হবে।

গত মাসে ভারত টিকার রপ্তানি বন্ধ করার পর ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন ঘোষণা দেয়, তারা চীনের কাছ থেকে টিকা সংগ্রহ করবে। গত সপ্তাহে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় টিকা সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছেন।

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর আলোচনার পর জাকার্তা ঘোষণা দেয়, তারা সিনোভ্যাকের টিকাও পাচ্ছে। এরপর ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে জানান, টিকা সরবরাহ করে ‘ঋণী’ করায় তিনি চীনের প্রতি কৃতজ্ঞ।

এখন দেখার বিষয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের পর বেইজিং টিকার সরবরাহ কতটা জোরদার করে। চীন কোভ্যাক্স কর্মসূচিতে এ পর্যন্ত মাত্র এক কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করেছে। যদিও বেইজিংভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ব্রিজ কনসাল্টিংয়ের তথ্যমতে, চীন ৮৪টি দেশে ৬৯ কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা বিক্রি করেছে। এর বাইরে ১ কোটি ৬৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবেও পাঠিয়েছে। এ উপহারের সিংহভাগ গেছে এশিয়া ও আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলোয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের গ্লোবাল হেলথ পলিসি সেন্টারের পরিচালক জে স্টিফেন মরিসন বলেন, ‘তারা (চীন) হয়তো জাতিসংঘের ছায়ায় নিজেদের উদারতা ঢাকা পড়তে দিতে চাইবে না। তাদের জন্য এ মুহূর্তটা ঐতিহাসিক। কাজেই তারা চাইবে টিকাগ্রহীতা জানুক, সে চীনের টিকা পাচ্ছে।’

● ভাষান্তর: রাজিউল হাসান