রাজবাড়ী সদর উপজেলায় অপহরণের এক মাস পর সাবেক এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে বাড়ির পাশের একটি ঝোপ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জমি নিয়ে বিরোধে ওই ব্যক্তি খুন হয়েছেন বলে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ।
নিহত গোপাল চন্দ্র সাহা (৫০) পেশায় কাঠ ব্যবসায়ী। রাজবাড়ী সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সদরের সুলতানপুর ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য। এবার নির্বাচন করে পরাজিত হন।
গোপাল সাহার ছেলে সজল সাহা বলেন, ২০ অক্টোবর বাড়ির পাশের এলাকা থেকে তাঁর বাবাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। এ ঘটনায় তাঁর মা কৃষ্ণা রানী সাহা ২৫ অক্টোবর সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ৮ নভেম্বর রাত পৌনে দুইটার দিকে তাঁর মায়ের মুঠোফোনে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। এ সময় তাঁর বাবার মুক্তির জন্য তিন লাখ টাকা দাবি করা হয়। পরের দিন সকালে আরেকটি নম্বর থেকে ফোন করে দ্রুত এক লাখ টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়। একটি বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বরও দেওয়া হয়। তবে পরে আর যোগাযোগ হয়নি। ১২ নভেম্বর তাঁর মা অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। সোমবার দুপুরে বাড়ির পাশে একটি ঝোপে গলিত লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরনের পোশাক দেখে লাশ শনাক্ত করা হয়।
গোপালের ছেলে সজল সাহা বলেন, ফরিদপুরে তাঁর দাদাবাড়ি। সেখানে তাঁদের জমি নিয়ে একটি মামলা চলছে। এ ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে তাঁদের কোনো শত্রুতা নেই।
নিহতের ভাতিজা রঞ্জন সাহা বলেন, দুই একর জমি নিয়ে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা দুলাল সাহার সঙ্গে তাঁর কাকার প্রায় তিন-চার বছর ধরে মামলা চলছে। ২২ নভেম্বর মামলার পরবর্তী দিন। তাঁর আগেই চাচাকে অপহরণ ও হত্যা করা হলো।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল বাসার মিয়া বলেন, লাশ দেখে ধারণা করা হচ্ছে গোপাল চন্দ্র সাহাকে অপহরণের কিছুদিন পরই হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।