অবৈধভাবে গ্যাসলাইন স্থাপনের চেষ্টা

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর গ্রাম থেকে অবৈধ গ্যাস-সংযোগের জন্য আনা এক হাজার ফুট পাইপ আটক করা হয়েছে। বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেমস লিমিটেডের কর্মকর্তারা এ কথা জানান।
স্থানীয় ও বাখরাবাদ গ্যাস সূত্র জানায়, বুধবার সকাল থেকে নরোত্তমপুর গ্রামের খেজুরতলা থেকে মফিজ কোম্পানির পোল পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় রাস্তা খুঁড়ে অবৈধ গ্যাসলাইন বসানোর আয়োজন শুরু হয়। স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে তাঁরা বিষয়টি বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেমস লিমিটেডের কর্মকর্তাদের জানান। সন্ধ্যায় বাখরাবাদের ব্যবস্থাপক (বিক্রয়) মো. সোলেমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সেখানে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পায়। এরপর তারা বিষয়টি বেগমগঞ্জ থানায় জানায়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পুলিশের উপস্থিতিতে নরোত্তমপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে এক হাজার ফুট পাইপ উদ্ধার করা হয়।
ওই বাড়ির বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে দুই ব্যক্তি পাইপগুলো তাঁদের বাড়িতে রেখে যান। এলাকায় গ্যাসের লাইন আসছে, তাই বাড়ির খালি জায়গায় পাইপগুলো রাখতে দেওয়া হয়। কিন্তু এগুলো যে অবৈধ লাইন নির্মাণের জন্য আনা হয়েছে, তা তাঁরা জানতেন না।
নরোত্তমপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. হানিফ ভূঁইয়া বলেন, এলাকার কিছু ব্যক্তি গ্যাস-সংযোগের জন্য ব্যাংকে জামানতও জমা দিয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন—লাইন যদি অবৈধ হয়, তাহলে বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষ ডিমান্ড নোট ইস্যু করল কীভাবে?
বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেমস লিমিটেডের নোয়াখালী কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. ইউসুফ প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রসারণ লাইনের আওতায় ওই এলাকার কিছু ব্যক্তির নামে ডিমান্ড নোট ইস্যু করা হয়েছিল। কিন্তু পরে সরকারি সিদ্ধান্তের কারণে সম্প্রসারণ লাইনের নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। তিনি বলেন, বাখরাবাদের একসময়ের ঠিকাদার মহিউদ্দিন এলাকার লোকজনকে দিয়ে পাইপ কিনে নিজেই অবৈধভাবে লাইন নির্মাণ শুরু করেন। এর সঙ্গে বাখরাবাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
তবে মহিউদ্দিন বলেন, তিনি বাখরাবাদের কার্যাদেশের ভিত্তিতে গ্যাসলাইন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষ অন্যায়ভাবে তাঁর লাইসেন্স স্থগিত করেছে।