আত্মীয়ের বাসা থেকে ধরা পড়লেন লঞ্চের মালিক
এমভি অভিযান–১০ লঞ্চের মালিক মো. হামজালাল শেখকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) জানিয়েছে, তাঁকে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন প্রথম আলোকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় গতকাল রোববার দুপুরে নৌ আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় বলা হয়েছে, লঞ্চটিতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র, বয়া ও বালুর বাক্স ছিল না। এ ছাড়া ইঞ্জিনকক্ষের বাইরে অননুমোদিতভাবে ডিজেলবোঝাই বেশ কয়েকটি ড্রাম রাখা ছিল। ইঞ্জিনকক্ষের পাশে রান্নার জন্য গ্যাসের সিলিন্ডার (বিপজ্জনক দাহ্য পদার্থ) রাখা হয়েছিল। একই সঙ্গে লঞ্চটি অননুমোদিত লোকবল দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছিল বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলা করার পরই লঞ্চটির চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন নৌ আদালত। অন্য চার আসামি হলেন লঞ্চটির চারজন মাস্টার (চালক) ও ড্রাইভার (ইঞ্জিন পরিচালনায় নিযুক্ত কর্মী)। যেসব অভিযোগে নৌ আদালতে মামলা হয়েছে, তাতে অপরাধ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছরের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় ধরনের দণ্ড।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চটিতে আগুন ধরে যায়। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। নিখোঁজ ৫১ জন। অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়েছেন অনেক যাত্রী। তাঁদের ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।