বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ছাত্রলীগ নেতা ও ঠিকাদার শাওন হাওলাদারকে তাঁর চার সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উপজেলার দোনারকান্দীতে নিম্নমানের নির্মাণকাজে বাধা দেওয়ায় ওই ছাত্রলীগ নেতা ও তাঁর সহযোগীরা এলাকার বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা চালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ওই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে গৌরনদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাসানুজ্জামানকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের দোনারকান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ৩৭ লাখ ১০ হাজার টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। গত সোমবার ঠিকাদার ও উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য শাওন হাওলাদার কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ফাউন্ডেশনের ঢালাই শুরু করেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কমিটির সদস্যরা নিম্নমানের কাজের প্রতিবাদ করলে শাওনের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন লোক লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত দোনারকান্দী গ্রামে হামলা চালান। হামলায় গ্রামের সুশীল সরকার, অনীল সরকার, গণেশ সরকার, কৃষ্ণ কান্ত বিশ্বাস, গৌতম সরকার ও সতীস চকিদারের বসতঘরে আসবাব ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। মঙ্গলবার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অবিনাশ সরকার বাদী হয়ে শাওন হাওলাদারকে প্রধান করে তাঁর ২৪ সহযোগীর নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, শাওন হাওলাদারকে গত বুধবার বরিশাল মহানগর থেকে চার সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অপর চারজন হলেন সাইফুল ইসলাম, হারুন মোল্লা, টিপু মৃধা ও কামরুল ইসলাম। গ্রেপ্তারের পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. হারুন আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছেন।
গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, এ ঘটনার বরিশালের পুলিশ সুপার এ কে এম এহসান উল্লাহ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তাঁকে নির্দেশ দেন। নির্দেশ পাওয়ার পর তিনি গৌরনদী থানার এসআই হাসানুজ্জামানকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। হাসানুজ্জামান দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়ায় ও পরে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হওয়ায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বুধবার তাঁকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।