আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ লুট
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের এক নেতা ও তাঁর ভাইয়েরা বিরোধপূর্ণ একটি পুকুরের মাছ লুট করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পুকুরটির মালিক দাবিদার ক্ষেতলাল উপজেলার ইটাখোলা বাজার এলাকার বাসিন্দা কৃষক মুনির উদ্দিন মণ্ডল জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মুনির উদ্দিন জানান, ১৯৮৮ সালে সাহার বেগম নামের এক নারীর কাছ থেকে ৪০ শতক জমি কেনেন তিনি। ওই জমির ২৫ শতকে পুকুর খনন করে তাতে তিনি মাছ চাষ শুরু করেন। বাকি ১৫ শতক জমিতে ধান চাষ করেন। বেশ কিছুদিন থেকে একই এলাকার বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিলুর ও তাঁর ভাইয়েরা ওই সম্পত্তি তাঁদের বলে দাবি করেন। মুনির উদ্দিন অভিযোগ করেন, ওই সম্পত্তি দখল করার জন্য তাঁরা মুনিরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন। নিরুপায় হয়ে মুনির জেলা সদরের ক্ষেতলাল উপজেলা সহকারী জজ আদালতে একটি বণ্টন মোকদ্দমা করেন। ওই মোকদ্দমায় মুনির অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন জানালে আদালত ওই সম্পত্তিতে স্থিতাবস্থা জারি করেন। ওই আদেশ অমান্য করে ২৬ নভেম্বর মুনিরের পুকুরের পাঁচ-ছয় মণ মাছ লুট করে নিয়ে যান খলিলুরের ছোট ভাই ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, তাঁর অপর ভাই আশরাফ এবং আজিজুল ও তাঁদের ভাতিজা বাবু হোসেন। এ সময় বাধা দিতে গেলে মুনিরের ছেলে মহাতাব মণ্ডলকে মারধর করা হয়। এ বিষয়ে মুনির উদ্দিন ২৯ নভেম্বর ক্ষেতলাল থানায় ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অভিযোগটি এখনো মামলা হিসেবে নেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি তিনি পেয়েছেন। থানার একজন উপপরিদর্শককে ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা খলিলুর রহমান ও তাঁর ভাই সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা মাছ লুট ও মারধর করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই জমিটি তাঁরা কিনেছেন। তাঁদের নামে মাঠ পর্চা ও খাজনা খারিজ রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে ওই সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
মুনির উদ্দিনের আইনজীবী খাজা আমিরুল ইসলাম জানান, ওই পুকুর ও জমিতে আদালত থেকে স্থিতাবস্থা জারি রয়েছে।