ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বহনকারী একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহের গাড়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। তবে কারা অগ্নিসংযোগ করেছে, এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন কার্যালয় জানায়, দুপুরে শিক্ষকদের বাসটি (ঢাকা মেট্রো ঝ-১৪-০২১৬৫) ঝিনাইদহ শহরে যায়। শিক্ষকদের নামিয়ে দিয়ে বাসটি ক্যাম্পাসে ফিরছিল। বেলা একটার দিকে গাড়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা বাসটি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। চালক বাসটি থামালে দুর্বৃত্তরা তাঁকে মারধর করে বাস থেকে নামিয়ে দেয়। এরপর তারা বাসটিতে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে বাসটির বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যায়। তবে এ সময় বাসে কোনো শিক্ষক ছিলেন না। বেলা পৌনে দুইটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত গাড়ির চালক আলী হাসানকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক মামুনুর রহমান বলেন, এভাবে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ একের পর এক ধ্বংস করছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁর ধারণা, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে এটা করেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে থানায় একটি এজাহার জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছগীর মিয়া বলেন, ‘যেসব দুর্বৃত্ত বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে, তাদের তালিকা আমার কাছে আছে। তাদের ধরার চেষ্টা চলছে।’ এ ছাড়া এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
গত ৩০ নভেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া করা একটি বাসের চাপায় তৌহিদুর রহমান নামের এক ছাত্র মারা যান। এতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও উপাচার্যের কার্যালয়ে ভাঙচুরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া করা ৩৫টি বাসে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়টি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে।