কর্মচারী অপহরণের অভিযোগ ১৯ দিন পর একজন গ্রেপ্তার
কুমিল্লা সদর হাসপাতালের এক ওয়ার্ডমাস্টারকে অপহরণ ও তাঁর কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই ঘটনার ১৯ দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার বুড়িচং উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম হেদায়েত উল্যাহ ওরফে সাগর (৩০)। তাঁর বাড়ি বুড়িচং উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। পুলিশ দাবি করেছে, গ্রেপ্তারের সময় পুলিশ তাঁর কাছ থেকে একটি শাটারগান ও একটি চাপাতি উদ্ধার করে।
জেলা পুলিেশর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ কামাল আকন্দ জানান, গত ১৫ জানুয়ারি বিকেলে হাসপাতাল থেকে ওয়ার্ডমাস্টার মো. নজরুল ইসলামকে (৩৯) কথা আছে বলে বাদুড়তলা তিন রাস্তার মোড়ে আনে এক দল দুর্বৃত্ত। এরপর অস্ত্রের মুখে তারা তাঁকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে গোবিন্দপুর গ্রামে তাদের আস্তানায় নিয়ে যায়। এরপর তাঁর কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ওই সময়ে নজরুল মুক্তিপণ দিতে অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে তারা মুঠোফোনে নজরুলের স্ত্রীকে ফোন করে চার লাখ টাকা পাঠাতে বলে। ১৪টি বিকাশ নম্বরে ওই রাতেই টাকা পৌঁছানো হয়। ১৬ জানুয়ারি নজরুলকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ২ ফেব্রুয়ারি নজরুল জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ সুপার বিষয়টি তদন্ত করার জন্য ডিবিকে দায়িত্ব দেন। গতকাল ভোর চারটায় ডিবি গোবিন্দপুর গ্রামের বাড়ি থেকে হেদায়েত উল্যাহকে গ্রেপ্তার করে।
ডিবির এসআই সহিদুল ইসলামের ভাষ্যমতে, জিজ্ঞাসাবাদে হেদায়েত উল্যাহ নজরুলকে অপহরণ ও তাঁর কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের কথা স্বীকার করেন। একই সঙ্গে এ কাজে মিজানুর রহমান, মো. সুমন ও টুটুল তাঁকে সহায়তা করেছেন বলে জানান। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় অপহরণের অভিযোগে নজরুল একটি ও বুড়িচং থানায় ডিবি পুলিশ অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করে।