কলেজছাত্রীকে যৌন হয়রানি করে চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার

নারী নির্যাতনের ছবিটি প্রতীকী।

নওগাঁর নিয়ামতপুরে কলেজছাত্রীকে (১৮) যৌন হয়রানি করে চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় রায়হান আলমের স্ত্রী রুপালি আক্তারকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে নিয়ামতপুর উপজেলা সদরে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ামতপুর থানা-পুলিশ।

পুলিশ ও কলেজছাত্রীর পরিবারের ভাষ্য, রায়হান আলম ওই তরুণীকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। সর্বশেষ গত রোববার বিকেলে মেয়েটি উপজেলা শহর থেকে অটোরিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন। পথে রায়হান ও তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে মেয়েটির দেখা হয়। তাঁরা তাঁকে একটি বাড়িতে নিয়ে বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আটকে রাখেন। সেখানে কলেজছাত্রীর আপত্তিকর ছবি তোলা হয়। যৌন হয়রানির পাশাপাশি তাঁর মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় সোমবার সকালে নিয়ামতপুর থানায় মামলা করেন মেয়েটির বাবা। ওই দিন দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে রায়হানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রায়হান গ্রেপ্তার হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা সহযোগীরা নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে কলেজছাত্রীর বাবার অভিযোগ

ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে নির্যাতনের ছবি ও ভিডিও মঙ্গলবার ছড়িয়ে দিতে থাকেন রায়হানের সহযোগীরা। ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রায়হানের স্ত্রী রুপালি আক্তার ওই ছাত্রীর মাথার চুল কেটে ফেলছেন।

নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, মামলায় একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামি রায়হানকে সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়। রায়হানের স্ত্রী রুপালিকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন

ওসি আরও বলেন, সোমবার রায়হানকে কারাগারে পাঠানোর আগে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ঘটনায় জড়িত চার তরুণের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
কলেজছাত্রীর বাবা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার মেয়ের আপত্তিকর কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে বলে লোকজন বলাবলি করছে। আমাদের আশঙ্কা, আরও অনেকের কাছে এসব ছবি ছড়িয়ে পড়তে পারে।’ রায়হান গ্রেপ্তার হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা সহযোগীরা নানাভাবে তাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।