গাছ বিক্রির ক্ষোভে মা-মেয়েকে কুপিয়েছেন, দাবি আটক তরুণের

প্রতীকী ছবি

গাছ বিক্রি করার ক্ষোভ থেকে লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও স্কুলছাত্রী মেয়ে সাদিয়া আক্তারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন আটক জাহিদ হোসেন (২০)। রোববার জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে বলেন, তিনি একাই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। এর সঙ্গে আর কেউ জড়িত ছিলেন না।
শনিবার রাত ৯টার দিকে জেলার সদর উপজেলার বালাইশপুর গ্রামে ঘরে ঢুকে কোপানোর এই ঘটনা ঘটে। এতে মরিয়মের ডান হাতের কবজি ও বাম হাতের আঙুল প্রায় বিচ্ছিন্ন এবং মাথায় গুরুতর জখম হয়। ধারালো অস্ত্রের কোপে সাদিয়ার মাথা ও ঘাড়ে জখম হয়েছে। রাতেই জাহিদকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
লক্ষ্মীপুর জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, জাহিদ জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি পুলিশকে বলেছে, মরিয়ম বেগমের স্বামী নবী উল্যা একটি কদম গাছ বিক্রি করেন। ওই কদম গাছ জাহিদদের বলে তাঁর দাবি। এ নিয়ে মরিয়মদের সঙ্গে জাহিদের প্রায়ই কথা-কাটাকাটি হতো। সেই ক্ষোভ থেকে পরিকল্পনা করে একাই তিনি এই হামলা চালিয়েছেন। পুলিশ তাঁর এসব কথা খতিয়ে দেখছে বলে এসপি জানান।

বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নুর হোসেন বলেন, জাহিদ হোসেন মাঝে মধ্যে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। প্রায়ই তিনি ঢাকায় যেতেন কাজের সন্ধানে। নবী উল্যা ও জাহিদদের মধ্যে আগে কোনো বিরোধের কথা তিনি শুনেননি।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মা ও মেয়েকে প্রথমে সদর হাসপাতালে আনা হয়। মরিয়ম বেগমের বাম হাতের আঙুলে জখম রয়েছে। ডান হাতের কবজি প্রায় বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। মাথাও জখম আছে। আর মেয়ের মাথায় গুরুতর জখম আছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি গুরুত্ব নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। ঘটনার পরপরই জাহিদকে আটক করা হয়েছে। এখনো এ ঘটনায় মামলা হয়নি, তবে শিগগিরই মামলা হবে।