কোকেন চোরাচালান মামলার বিচার শুরু

২০১৫ সালের জুনে কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর
ফাইল ছবি

২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন জব্দের ঘটনায় চোরাচালান আইনের মামলায় ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

আজ সোমবার দুপুরে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঞা শুনানি শেষে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হলো।

চট্টগ্রাম মহানগর সরকারি কৌঁসুলি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোকেন জব্দের ঘটনায় চোরাচালান আইনের মামলায় ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।’

১০ আসামি হলেন ফজলুর রহমান, বকুল মিয়া, নূর মোহাম্মদ, মোস্তাক আহমেদ, এ কে আজাদ, মেহেদী আলম, সাইফুল আলম, মোস্তফা কামাল, গোলাম মোস্তফা ও আতিকুর রহমান।

সরকারি কৌঁসুলি ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় মাদক আইনের বিচার আগেই শুরু হয়েছে। সেটির সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। আর এখন চোরাচালান আইনের ধারায় বিচার শুরু হলো।

পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৫ সালের ৬ জুন কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে ১টির নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়।

পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি ড্রামের নমুনায় (৯৬ ও ৫৯ নম্বর) কোকেন শনাক্ত হয়।

অভিযোগপত্র অনুযায়ী, সূর্যমুখী তেলভর্তি ওই ১০৭টি ড্রাম বলিভিয়া থেকে আমদানি করা হয়েছিল। সেখান থেকে উরুগুয়ে, সিঙ্গাপুর হয়ে চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।

কোকেন জব্দের ঘটনায় চট্টগ্রামের বন্দর থানায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন মাদক ও চোরাচালান আইনের ধারায় মামলা হয়।