চাঁদাবাজির মামলায় বরখাস্ত এসআই কারাগারে

সিলেটে চাঁদাবাজির অভিযোগে চিকিৎসকের দায়ের করা মামলায় সিলেট কোতোয়ালি থানার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে হাজির হয়ে মাসুদ রানার পক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরু জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।

সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ এসআই মাসুদ রানাকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি শুনেছেন বলে জানান। আদালত থেকে এ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র তাঁদের হাতে পৌঁছায়নি। ঘটনা সম্পর্কে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘চিকিৎসককে হয়রানি করে টাকা আদায়ের অভিযোগ ওঠায় মাসুদ রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এরপর মামলা হওয়ায় দীর্ঘদিন ‘পলাতক’ ছিলেন মাসুদ রানা। তাঁর সম্পর্কে আমাদের কাছে শুধু এ তথ্য আছে।’
আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৯ আগস্ট রাতে নগরের শিবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা চিকিৎসক এ কে এম নূরুল আম্বিয়ার বাসায় ঢুকে এসআই মাসুদ রানা মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে চিকিৎসককে নাশকতার মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করার ভয় দেখান। চিকিৎসক আম্বিয়া তখন বাসার পাশের একটি এটিএম বুথ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা তুলে মাসুদ রানার হাতে দেন। পরদিন চিকিৎসক ঘটনাটি সিলেট কোতোয়ালি থানাকে লিখিতভাবে জানালে প্রাথমিক তদন্তে মাসুদ রানার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ ঘটনার প্রায় তিন সপ্তাহ পর সিলেটের মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে এসআই মাসুদ রানাকে আসামি করে চিকিৎসক নূরুল আম্বিয়া মামলার আবেদন করেন। মামলা আমলে নিয়ে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আজ মাসুদ রানা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।