যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আশরাফুরকে খুন করার জন্য ঘটনার দিন দুপুর ১২টা থেকে ছুরি নিয়ে যাত্রাবাড়ীর মাছের আড়তে ঘটনাস্থলে অপেক্ষা করেন শফিকুল। এরপর আশরাফুরকে ছুরিকাঘাত করে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া এলাকায় ফুফুর বাড়িতে আত্মগোপন করেন শফিকুল। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে সেখান থেকে আজ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার পর নিহতের ছেলে মেহেদি হাসান বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাযহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আশরাফুর রহমানের গ্রামের বাড়ি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মহিষা গ্রামে। তিনি পুলিশ ও র্যাবের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। শফিকুল ইসলাম তাঁকে ছুরিকাঘাত করেছেন।
আশরাফুর রহমান পরিবার নিয়ে বিবির বাগিচা এলাকায় থাকতেন। তাঁর স্ত্রী হোসনে আরা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সোমবার বেলা দুইটার পর তাঁর স্বামী বাসা থেকে বের হন। বিকেল পাঁচটার দিকে খবর পান, যাত্রাবাড়ীর মাছের আড়তে তাঁর স্বামীকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ছুরিকাঘাত করেছেন। পরে গুরুতর অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেদিনিই সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।