তক্ষক কেনাবেচায় জড়িত অভিযোগে এসআইসহ গ্রেপ্তার ৫

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

মূল্যবান তক্ষক কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে পুলিশের একজন উপপরিদর্শকসহ (এসআই) সংঘবদ্ধ একটি চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে একটি তক্ষক। নওগাঁর বদলগাছি থানা-পুলিশ শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁদের গ্রেপ্তার ও তক্ষকটি জব্দ করে। এ ঘটনায় বদলগাছী থানায় একটি প্রতারণার মামলা হয়েছে। রাতেই বদলগাছী থানার সহকারী উপপরিদর্শক বাবর আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
বদলগাছী-মহাদেবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালেহ মো. আশরাফুল আলম এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এসআই গোলাম মোস্তফা ঢাকার রিজার্ভ পুলিশে কর্মরত আছেন। আগে তিনি বদলগাছী এলাকায় কর্মরত ছিলেন।
গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন ঢাকা রিজার্ভ পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা (৫০), তাঁর ছেলে রনি (২৫), সোহাগ হোসেন (২২), পারভেজ (২৫) ও বদলগাছী সদরের ওবায়দুল কবিরাজের স্ত্রী পিয়ারা বেগম (৫০)।

বদলগাছী থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য, এসআই গোলাম মোস্তফা ৭-৮ বছর আগে বদলগাছী থানায় কর্মরত ছিলেন। এ কারণে এলাকার অপরাধ জগতের লোকজনের সঙ্গে তাঁর পরিচিতি আছে। এসআই গোলাম মোস্তফা তাঁর ছেলে ও ছেলের দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার সকালে বদলগাছী উপজেলা সদরে যান। তাঁরা উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ঘোরাফেরা করেন। পরে এসআই গোলাম মোস্তফা তাঁর ছেলে ও ছেলের বন্ধুদের নিয়ে বদলগাছী থানায় যান। তাঁরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী যোবায়ের আহাম্মেদের কাছে গিয়ে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে অভিযান পরিচালনার জন্য তাঁর সহায়তা চান। তাঁদের কথাবার্তায় ওসির সন্দেহ হয়। ওসি তাঁদের থানায় বসিয়ে রেখে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানান। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাঁরা তক্ষক কেনাবেচা চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তাঁদের কাছে ডিবি পুলিশের একটি পোশাক ও একটি হাতকড়া পাওয়া যায়। তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের খাদ্যগুদামের পেছনে ওবায়দুল কবিরাজের ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি তক্ষক জব্দ করা হয়। পুলিশের অভিযানের সময় ওবায়দুল কবিরাজ পালিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁর স্ত্রী পেয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বদলগাছী থানার ওসি চৌধুরী যোবায়ের আহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার এসআইসহ গ্রেপ্তার পাঁচজনকে আদালতে পাঠানো হবে।