
টাঙ্গাইলের সখীপুরে নির্জন ঘরে এক কিশোরীকে আটকে রেখে সাত মাস ধর্ষণের মামলার আসামি বাদল মিয়া আজ শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে শুক্রবার গোয়েন্দা পুলিশ তাঁকে মির্জাপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক কুমার সিংহ বলেন, গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদকালে বাদল মিয়া (৩৫) ওই কিশোরীকে ৬ মাস ১৭ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিতেও রাজি হন। পরে আজ শনিবার দুপুরে তাঁকে টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিমের আদালতে নেওয়া হয়। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আবদুল্লাহ আল মাসুদ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। পরে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
সখীপুর উপজেলার ওই কিশোরীর সঙ্গে একটি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ছেলেটিকে বিয়ে করতে ওই কিশোরী সহযোগিতা চায় এলাকার দূর সম্পর্কের চাচা বাদল মিয়ার কাছে। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি বাদল মিয়া বিয়ের কথা বলে এলাকার নির্জন স্থানে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ওই কিশোরীকে আসতে বলেন। পরে তাকে সেখানে আটকে রেখে সাত মাস ধরে নির্যাতন চালান। গত ২৯ জুলাই কিশোরীকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে ৩১ জুলাই বাদল মিয়ার বিরুদ্ধে সখীপুর থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন...