নারায়ণগঞ্জে আদালতের শৌচাগারে বিস্ফোরণ

বেলা দেড়টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের গণশৌচাগারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এরপর সিআইডির কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেন। ছবি: পাপ্পু ভট্টাচার্য্য
বেলা দেড়টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের গণশৌচাগারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এরপর সিআইডির কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেন। ছবি: পাপ্পু ভট্টাচার্য্য

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের গণশৌচাগারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই এলাকায় থাকা আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী-দর্শনার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিস্ফোরণে কেউ হতাহত হয়নি।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাশেই রয়েছে মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালত, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় এবং জেলা সার্কিট হাউস। বিস্ফোরণের পরপরই আদালতপাড়ার মূল ফটক তালা দেওয়া হয় ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পরে তল্লাশি করে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী মাজেদা বেগম ও কবিতা বেগম বলেন, ‘বেলা দেড়টার দিকে আদালতের গণশৌচাগারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে শৌচাগারের ভেনটিলেটরের কাচ ভেঙে গেছে। সেখান থেকে বারুদের প্রচণ্ড গন্ধ আসছিল। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ ঘটেছে।
বিস্ফোরণের শব্দে আইনজীবী ও আদালতে আসা বিচারপ্রার্থী ও দর্শনার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।’
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিস্ফোরণের পর শৌচাগারে এক টাকার বেশ কয়েকটি কয়েন ও বারুদের গন্ধ পাওয়া গেছে। তবে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে শীতকালীন অবকাশ ছুটি থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনার সঙ্গে আগে দুই আইনজীবীকে মোবাইল ফোনে এসএমএসে হুমকি দেয়ার ঘটনার যোগসূত্র থাকতে পারে।

এক মাস আগে জেলা আইনজীবী সমিতির দুই আইনজীবীকে মুঠোফোনে এসএমএস পাঠিয়ে বোমা হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হাওলাদার জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে।
এটা বোমার বিস্ফোরণে কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবে। এই ঘটনায় চম্পা বেগম নামের এক ভিক্ষুককে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সময় তিনি শৌচাগারে ছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।