নিখোঁজের ২০ দিন পর ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

নিখোঁজ হওয়ার ২০ দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাজারের ব্যবসায়ী আতাউর রহমান ওরফে সেলিমের (২৬) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিতাস উপজেলার শিবপুর গ্রামের সরিষার খেত থেকে মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আতাউর রহমানের বাড়ি তিতাস উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আবদুল লতিফ মোল্লার ছেলে। গত ১৪ নভেম্বর বিকেলে তিনি তিতাস উপজেলার মজিতপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান। এ সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক দড়িকান্দি গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও আমজারুল তাঁর সঙ্গে ছিলেন। দাওয়াত খেয়ে তাঁদের সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে তিনি নিখোঁজ হন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও না পেয়ে গত ২৩ নভেম্বর আতাউরের বড় ভাই জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে তিতাস থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ বুধবার রাত ১২টার দিকে দড়িকান্দি গ্রামের সুমন, আমজারুল ও আনোয়ার হোসেন এবং শিবপুর গ্রামের সালাহউদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গতকাল বেলা দুইটায় উপজেলার শিবপুর গ্রামের একটি সরিষা খেতের মাটির ২০ ফুট নিচ থেকে আতাউরের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। লাশ উদ্ধারের পর জিয়াউর রহমানের লিখিত অভিযোগটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তিতাস উপজেলার উপপরিদর্শক শহীদুল ইসলাম জানান, আটক হওয়া ব্যক্তিদের থানা হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আগামীকাল (আজ শুক্রবার) তাঁদের আতাউর রহমান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান বলেন, আটক হওয়া ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আতাউরের লাশটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।