নেশার টাকা জোগাড় ও একটি মুঠোফোন ছিনতাই করার জন্য তাঁরা তিন বন্ধু মিলে কলেজছাত্র নাঈম ভূঁইয়াকে (২১) ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। ওই হত্যা মামলার আসামি রাজু মিয়া গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা বলেন।
নাঈম ভূঁইয়া সোনারগাঁ পৌরসভার হাতকোপা গ্রামের প্রবাসী তোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়ার ছোট ছেলে। তিনি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গাজীপুরের মডেল ইনস্টিটিউশন অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
সোনারগাঁ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ৮ নভেম্বর কাঁচপুর সেতুর ঢালুতে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করার পর নাঈমের লাশ ফেলে রেখে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। ওই দিনই পুলিশ সেখান থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ১০ নভেম্বর নাঈমের মা রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে নাঈমের মুঠোফোন উদ্ধারের চেষ্টা চালায় পুলিশ। ওই মুঠোফোনের সূত্র ধরেই গতকাল ভোরে কাঁচপুরের সেনপাড়া বস্তি থেকে সোনারগাঁ উপজেলার ছনপাড়া গ্রামের রাজু মিয়াকে (২৫) গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অজয় কুমার পাল দাবি করেন, রাজু গতকাল নারায়ণগঞ্জের বিচারিক হাকিম চাঁদনী রূপমের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ সময় রাজু বলেন, নেশার টাকা জোগাড় করার জন্য তিনি, তাঁর বন্ধু আয়নাল হকসহ তিনজন একত্র হয়ে নাঈমকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে এক হাজার টাকা ও তাঁর মুঠোফোন নিয়ে যান। ছিনতাই করা টাকায় তাঁরা তিন বন্ধু মিলে গাঁজা ও ইয়াবা বড়ি সেবন করেন।
এসআই অজয় কুমার পাল আরও জানান, গতকাল সন্ধ্যায় কাঁচপুরের সেনপাড়া এলাকা থেকে রাজু মিয়ার বন্ধু আয়নাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাঈমের মুঠোফোনটিও উদ্ধার করা হয়েছে। রাজুর বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাই, ডাকাতিসহ ২১টি মামলা রয়েছে।