নোয়াখালী শহরের রশিদ কলোনি এবং ফেনীর দাগনভূঞার ছিলোনিয়ার বাজার এলাকায় পেট্রলবোমা হামলার দুটি পৃথক ঘটনায় দুই ব্যক্তি দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে ও আজ রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
নোয়াখালীতে দগ্ধ ব্যক্তির নাম রণজিত কর (৬০)। তিনি ব্যবসায়ী। শহরের ফকিরপুর এলাকায় তাঁর বাসা। ফেনীতে দগ্ধ ব্যক্তি হলেন লোকমান হোসেন (২৫)। তিনি ট্রাকচালকের সহকারী। তাঁর বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টগদি এলাকায়। তাঁরা দুজন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
দগ্ধ রনজিত করের ভাষ্য, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। শহরের রশিদ কলোনির মসজিদের কাছে পৌঁছাতেই একটি পেট্রলবোমা তাঁর পায়ের কাছে বিস্ফোরিত হলে তিনি দগ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, পেট্রলবোমা হামলার ব্যাপারটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ফেনীতে হামলার শিকার ট্রাকের চালক আলাউদ্দিনের ভাষ্য, গতকাল রাত দেড়টার দিকে তিনি চট্টগ্রামের মাঝিরহাট থেকে ট্রাকে ইউরিয়া সার নিয়ে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ট্রাকটি দাগনভূঞার ছিলোনিয়ার বাজার এলাকায় পৌঁছালে পাশ থেকে দুর্বৃত্তরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে। এতে ট্রাকটির চালকের সহকারী লোকমানের মুখমণ্ডল ও শরীর আগুনে দগ্ধ হয়।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক সৈয়দ কামরুল হোসেন জানান, পেট্রলবোমার আগুনে লোকমানের মুখমণ্ডলসহ শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আর রনজিতের ডান পায়ের কিছু অংশ পুড়ে গেছে।