পুনঃ ময়নাতদন্তের আবেদন করবে তৌকিরের পরিবার
‘সবাই জানে, আমার ছেলেকে পিটিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে ছুড়ে ফেলে মেরে ফেলা হয়েছে। অথচ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সে দুর্ঘটনায় মারা গেছে। আমরা পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করব। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।’
কথাগুলো চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ছাত্রলীগের নেতা তৌকির ইসলামের মা আয়েশা বেগমের।
গত ৩১ আগস্ট রাজধানীতে ছাত্রলীগের সমাবেশ শেষে ফেরার পথে ট্রেনের আসনে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী তৌকিরকে পিটিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে ছুড়ে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। টঙ্গীর নিমতলী থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। এই ঘটনায় রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
তৌকিরের বাবা আবদুর রশিদ বলেন, তাঁরা স্থানীয় আইনজীবীদের সহায়তায় আবারও ময়নাতদন্তের আবেদন করবেন।
তৌকিরের বড় ভাই মো. আলমগীর বলেন, ‘আমরা সুরতহাল প্রতিবেদন সংগ্রহ করেছি। এতে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাতের কথা উল্লেখ আছে।’ তিনি বলেন, ‘যেহেতু দলের কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না, তাই আমরা নিজেরা এ ঘটনায় হত্যা মামলা করার চেষ্টা করছি।’
তৌকিরের মা আয়েশা বেগম বলেন, তৌকিরের মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা কয়েক দিন খবর নিলেও পরে আর কেউ খবর রাখেননি। দলীয়ভাবে তাঁরা কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না।
ওই ঘটনায় ছাত্রলীগের কর্মী মো. শাহেদ ও মো. রিসন গুরুতর আহত হন। মো. শাহেদ এখনো চিকিৎসাধীন। প্রত্যক্ষদর্শী শাহেদ বলেন, ছাত্রলীগের ১০-১২ জন কর্মী যখন তৌকিরকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করছে, তখন তিনি প্রাণ বাঁচাতে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দেন।
এ ব্যাপারে লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের (একাংশ) সভাপতি রিদওয়ানুল হক বলেন, ‘মামলার ব্যাপারে আমরা একাধিকবার তৌকিরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তাঁর পরিবার এ ব্যাপারে সাড়া দেয়নি।’
লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘তৌকিরের মৃত্যুর পর আমরা আর্থিক সহযোগিতা করেছি।’