আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অনুপম সেন বলেছেন, সাহিত্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিজ্ঞানে যুবশক্তি সমৃদ্ধ হলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির উদ্যোগে নগরের লালদীঘি মাঠে আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সমাবেশ চলাকালে বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে যুবলীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
দলীয় সূত্র জানায়, বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বক্তব্য রাখছিলেন। এ সময় দেওয়ানবাজার ওয়ার্ড যুবলীগের পৃথক তিনটি মিছিল একসঙ্গে মাঠে প্রবেশ করে। হঠাৎ চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও হাতাহাতি শুরু হয়। যুবলীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা মঞ্চ থেকে বারবার তাদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানালেও হাতাহাতি চলছিল। প্রায় ১০ মিনিট পর জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ বিষয়ে নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ বলেন, ‘ওয়ার্ড পর্যায়ের কয়েকটি মিছিল একসঙ্গে মাঠে প্রবেশ করেছিল। এ সময় তাদের মধ্যে একটু হাতাহাতি হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।’
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সমাবেশে নেতা–কর্মীদের মধ্যে কয়েক মিনিট চেয়ার মারামারি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বড় কিছু হয়নি।’
গতকালের সমাবেশে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
সমাবেশে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, অত্যাচার নির্যাতনকে উপেক্ষা করে সাহসিকতার সঙ্গে যুবলীগকে দেশ গড়ার জন্য এগিয়ে যেতে হবে।
নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত যুব সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, নগর যুবলীগের সাবেক সভাপতি চন্দন ধর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, দিদারুল আলম, মাহবুবুল হক প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।