বখাটের হামলায় গৃহবধূর কবজি প্রায় বিচ্ছিন্ন

অপরাধ
প্রতীকী ছবি

লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে এক প্রবাসীর স্ত্রী ও তাঁর শিশুসন্তানকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মা–মেয়েকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জাহিদ হোসেন (২০) নামের প্রতিবেশী এক যুবককে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার রাত ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বালাইশপুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় গৃহবধূর ডান হাতের কবজি প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জখম হয়েছে মাথা ও বাঁ হাতটিও। মেয়ের মাথায় মারাত্মক জখম।

হামলার শিকার গৃহবধূ ও তাঁর সন্তান হলো মরিয়ম বেগম (৩৬) ও সাদিয়া (৮)। মরিয়মের স্বামী নবী উল্যা সৌদিপ্রবাসী। কী কারণে এ হামলা, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কেউ জানাতে পারেননি।

আমানত উল্যা নামের স্থানীয় এক ব্যক্তির ভাষ্য, রাতে হঠাৎ করে প্রবাসী নবী উল্যার বাড়ি থেকে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা সেখানে ছুটে যান। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় মা ও মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। তখন জাহিদ নামের প্রতিবেশী এক বখাটে এই হামলা চালিয়েছে বলে তাঁদের জানান ওই গৃহবধূ। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁদের দুজনকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাঁদের ঢাকায় প্রেরণ করেন।

এ বিষয়ে ওই হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মা ও মেয়েকে প্রথমে সদর হাসপাতালে আনা হয়। মরিয়ম বেগমের ডান হাতের কবজি প্রায় বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। বাঁ হাতের আঙুলও জখম হয়েছে। এ ছাড়া মাথায় জখম রয়েছে। আর শিশুর মাথায় মারাত্মক জখম আছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ সুপার ও তিনি ঘটনাস্থলে যান। জাহিদ ওই মা ও মেয়েকে কুপিয়ে জখম করেছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।