বিদেশ থেকে পণ্য এনে দেওয়ার কথা বলে কোটি টাকা হাতিয়ে নিতেন তাঁরা

চাহিদা অনুযায়ী পণ্য এনে দেওয়ার কথা বলে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি
ছবি: সংগৃহীত

ইকো ম্যাক্স নামে একটি ভুয়া আমদানি-রপ্তানি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিল তিন সদস্যের প্রতারক চক্র। তারা দামি আসবাব দিয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকায় অফিস সাজায়। এরপর অল্প সময়ে সাশ্রয়ী মূল্যে চীন থেকে ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহের ঘোষণা দেয় তারা। আগ্রহী ব্যক্তিরা যোগাযোগ করলে পণ্যের দামের ৫০ ভাগ টাকা তারা অগ্রিম নিত। চট্টগ্রাম বন্দরে মালপত্র পৌঁছে যাওয়ার তথ্য জানিয়ে নেওয়া হতো আরও ২০ ভাগ অর্থ।

এভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর প্রতারক চক্রের কোনো খোঁজ মিলত না। চক্রটি এভাবে প্রতারণা করে অন্তত ৩৫ জনের কাছ থেকে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অবশেষে চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার চক্রের দুই সদস্য হলেন আরাফাত হোসাইন ও নাজিম উদ্দিন।

বুধবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সিআইডি ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন এ সময় বলেন, গ্রাহকের আস্থা অর্জনের জন্য চুক্তিপত্র করতেন চক্রের সদস্যরা। তাঁরা যেসব পণ্য এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন, সেগুলো হলো পোশাক কারখানার সরঞ্জামাদি, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, মেডিকেল সরঞ্জাম, মোটরসাইকেল, কাপড়, সিলিকা জেল ও লোগো ইত্যাদি।

সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, চক্রটির ভাড়া করা বিপণন কর্মকর্তারা বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য চীন থেকে এনে দেওয়ার প্রস্তাব দিতেন। পরে বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে সময়ক্ষেপণ করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে অফিস ও মোবাইল ফোন বন্ধ করে পালিয়ে যেতেন।

ইমাম হোসেন আরও বলেন, চক্রের এক সদস্য আগে চীনে পড়ালেখা করতেন। আরেক সদস্য চীন থেকে মেডিকেল যন্ত্রপাতি কেনার জন্য যাতায়াত করতেন। তাঁদের অপকর্মের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলে অনুসন্ধানে এর সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর ঢাকা মেট্রো পশ্চিমের একটি দল সহকারী পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।