ভবন নির্মাণে অনিয়ম, দুদকের অভিযান
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ভবন নির্মাণ তদারকিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনিয়মের প্রাথমিক তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার দুদক এ অভিযান চালায়।
দুদক জানিয়েছে, সংস্থার অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন ১০৬) অভিযোগ আসে, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে ডি বিল্ডার্স অ্যান্ড প্রোপার্টিজ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান রাজউকের বিধি লঙ্ঘন করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। অভিযান চলাকালে রাজউক জোন-৩–এর কর্মচারীদের সমন্বয়ে ভবনটি পরিদর্শন ও পরিমাপ করে অভিযোগের সত্যতা পায় দুদকের দল। ভবন নির্মাণে রাজউকের নকশার বেশ কিছু ব্যত্যয় ঘটেছে মর্মে দুদক দল দেখতে পায়।
দুদক দেখেছে, ভবনের চারপাশে যে পরিমাণ জায়গা রাখার কথা তা রাখা হয়নি। দলটি আরও জানতে পারে, ওই ভবন নির্মাণে অনিয়মের বিষয়ে এলাকাবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজউক আবাসন কোম্পানিটিকে ২০১৮ সালে ভবন ভেঙে ফেলার জন্য চূড়ান্ত নোটিশ দেয়। রাজউকের নোটিশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করে আবাসন প্রতিষ্ঠানটি। এ বছরের জানুয়ারিতে সেটি খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু রিট খারিজ হওয়ার সাত মাস পরও রাজউক কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ বিষয়ে রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে মর্মে দুদক দল মনে করছে। এ অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধানের অনুমোদন চেয়ে দলটি কমিশনে চিঠি দেবে।
এদিকে টাঙ্গাইল পাসপোর্ট অফিসে সেবাপ্রত্যাশীদের হয়রানির অভিযোগ পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় দুদক। দুদক অভিযোগকেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) অভিযোগ আসে, ওই পাসপোর্ট অফিসে অনৈতিক অর্থ না দিলে নানা অজুহাতে পাসপোর্ট ফরমে ত্রুটি বের করে হয়রানি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের টাঙ্গাইল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযোগের বিষয়ে সেবাপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে দুদক দল। এঁদের প্রত্যেকেই সেবা পেতে বিভিন্ন অঙ্কের ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছেন মর্মে জানান। দুদক দল আরও জানতে পারে, ওই অফিসের ১০৬ নম্বর কক্ষে পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরত আউটসোর্সিং কর্মচারীরা মূলত এ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত। দুদক দলের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই সব কর্মচারী পালিয়ে যান।