মাহমুদা হত্যার ঘটনায় বাবুলের নারাজি আবেদনের শুনানি সম্পন্ন, আদেশ ৩ নভেম্বর
মাহমুদা খানম হত্যার ঘটনায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদনের শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালতে এ শুনানি হয়।
বাবুলের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আদালত বাবুলের বক্তব্য নিয়েছেন। আগামী ৩ নভেম্বর আদেশের জন্য রেখেছেন।
১৪ অক্টোবর আদালতে নারাজি আবেদনটি করেন বাবুলের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। নারাজি আবেদনে বলা হয়, বাবুল ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি এ মামলার বাদী ছিলেন। তাঁকে আসামি করতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
আজ কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বাবুলকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানিতে তিনি আদালতকে বলেন, ‘ঘটনার পরপরই গ্রেপ্তার দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এখানে তাঁরা পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। জবানবন্দিতে কেউ আমার বাবুল নাম বলেননি।’
বাবুল আক্তার বলেন, ‘আমি এই মামলার বাদী। পরে পিবিআই আমার করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে দেয়। তারা অহেতুক আমাকে হয়রানি করার জন্য নতুন করে জবানবন্দি নিচ্ছে। সেখানে আমাকে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে নগরের জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন মাহমুদা খানম। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পিবিআই এ বছরের ১২ মে এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। ওই দিন মাহমুদার বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে বাবুলসহ আটজনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। বর্তমানে পিবিআই মামলাটি তদন্ত করছে।
নারাজি আবেদনে বলা হয়, বাবুলকে আসামি করতে বানোয়াট চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি দেওয়া হয়। অথচ সেই মামলায় পুলিশ ৫১ জনের বেশি সাক্ষীর জবানবন্দি নিয়েছে ১৬১ ধারায়। সেখানে একজনও বাবুলের সম্পৃক্ততার কথা বলেননি। দুই সাক্ষীর জবানবন্দির ভিত্তিতে বাবুলকে আসামি করা হয়। কাদের বাঁচানোর জন্য, সেটা দেখতে হবে। বাবুল আক্তার মহলবিশেষের ষড়যন্ত্রের শিকার। ইতিপূর্বে তিনি স্বর্ণের চোরাকারবারি ও কালোবাজারিদের ধরেছেন, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করেছেন।