মুসা বিন শমসেরকে দুদকে তলব

বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের সম্পদ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আগামী ১৮ ডিসেম্বর তাঁকে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
মুসাকে তলব করে আজ বৃহস্পতিবার নোটিশ পাঠিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ৩ নভেম্বর কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে মুসার সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দুদক সূত্র জানায়, চলতি বছরের জুন মাসে বিজনেস এশিয়া নামের একটি সাময়িকীর ঈদসংখ্যায় মুসাকে নিয়ে প্রকাশিত প্রচ্ছদ প্রতিবেদনের সূত্র ধরে তাঁর সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ওই সাময়িকীতে এই ব্যবসায়ীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তাঁর জীবনযাত্রা, আর্থিক সামর্থ্য ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করা হয়।
বিজনেস এশিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসা, তেল বাণিজ্য ও কেনাবেচার মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিপুল ধনসম্পদের অধিকারী হয়েছেন মুসা। ড্যাটকো নামে তাঁর জনশক্তি রপ্তানির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিবেদনে মুসাকে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি ব্যবসার ‘জনক’ বলে অভিহিত করা হয়।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে মুসা বিন শমসেরকে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তাঁকে ‘প্রিন্স’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
যুক্তরাজ্যের দ্য উইকলি নিউজ সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মুসা বিন শমসের সব সময় সবচেয়ে সেরা জিনিস ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। তিনি প্রতিদিন গোলাপ পানিতে গোসল করেন । নিত্যদিনের চলাফেরা বা বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে অঙ্গসজ্জা ও বেশভূষায় তিনি ৭০ লাখ ডলার মূল্যের অলংকার ব্যবহার করেন।
দুদকের কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন সাংবাদিকদের বলেছেন, পত্রিকার প্রতিবেদনে মুসার আয়, আয়ের উৎস ও জীবনযাপনের কথা যেভাবে প্রকাশিত হয়েছে, সেটা দুদকের কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। তাই তাঁর সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদীনকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
২০১০ সালে বাংলাদেশের একটি ট্যাবলয়েড দৈনিকে ছাপা প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে মুসার সম্পদের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।