রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়া এলাকায় গতকাল সকালে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ছোড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ককটেল, পেট্রলবোমাসহ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১৭ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ বলেছে, সকাল আটটার দিকে কোনাপাড়া এলাকায় লাঠিসোঁটা ও ব্যানার নিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করেন। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। একপর্যায়ে পুলিশ শটগানের গুলি ছুড়লে মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে। তাঁরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর কর্মী মোস্তফা কামাল (৩৫), শিবিরের কর্মী আবদুস সালাম (৩৫) ও তানভীরুল হাসান (২০)। পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জামায়াতের ছোড়া ইটপাটকেলের জবাবে পুলিশ বাধ্য হয়ে শটগান থেকে আটটি গুলি ছুড়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর অভিযোগ, সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা দিয়েছে। রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়া থেকে মিছিল শেষে ঢাকা মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ জামায়াতের মিছিলে হামলা চালিয়ে আটজন নেতা-কর্মীকে আহত করেছে ও দুজনকে আটক করেছে। পীরেরবাগ থেকে জামায়াতের আট কর্মীকে, বগুড়া থেকে তিন, রংপুর শহরে দুজন, রংপুর জেলায় নয়জন, নীলফামারীতে দুজন, মৌলভীবাজার জেলায় দুজন কর্মী, সুনামগঞ্জ, মাদারীপুর ও ফেনীতে একজন করে জামায়াতের কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে।