যুবলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় আসামি মারধরের অভিযোগ

মানিকগঞ্জ সদর থানার প্রাচীরের ভেতরে পুলিশের সামনেই জেলা যুবলীগের কর্মী জিয়াউর রহমান এক আসামিকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর ভুক্তভোগী আসামি রিমন নূর (৩০) সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।
মানিকগঞ্জ বিচারিক হাকিমের আদালত থেকে গতকাল বিকেলে জামিন পান রিমন। পরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগে গত বুধবার দুপুরে জেলা শহর থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাঁকে মোটরসাইকেল চুরি ও পুলিশের ওপর হামলা-সংক্রান্ত দুটি মামলাতেই আসামি করা হয়। এরপর ইভ টিজিংয়ের এক মামলায়ও তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলে। ওই মামলার জন্যই গতকাল বিকেলে তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় থানা ফটকের ভেতরে উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে সদর উপজেলার জয়রা গ্রামের বাসিন্দা যুবলীগের কর্মী জিয়াউর তাঁকে মারধর করেন। তবে মারধরের কারণ সম্পর্কে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।
মারধরের অভিযোগ সম্পর্কে গতকাল বিকেলে জিয়াউরের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এসআই হাবিবুর বলেন, ‘মারধরের ঘটনা ঘটেনি। তবে রিমন ও জিয়াউরের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়েছে।’ কোথায় তাঁদের দেখা হলো জানতে চাইলে তিনি এসআই আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
এসআই আনোয়ার অবশ্য থানা প্রাচীরের ভেতর রিমনকে মারধর বা কথা-কাটাকাটির বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২ আগস্ট মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার পশ্চিম দাশুড়া গ্রামে এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগে দায়ের মামলায় রিমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা হয়। গতকাল মানিকগঞ্জ বিচারিক হাকিমের আদালত থেকে তিনি জামিন পান।