সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রীর গলা কাটা লাশ ঘিরে রহস্য
কাফরুলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার স্ত্রীর গলা কাটা লাশ নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে মাহমুদা আক্তার (৩৮) নামের ওই গৃহবধূকে গলা কাটা অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের দাবি, মানসিকভাবে ‘ভারসাম্যহীন’ এই নারী আত্মহত্যা করেছেন। মাহমুদার স্বামী জহির উদ্দিন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা©ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষক (অডিটর)। তিনি হাসপাতালে বলেছেন, প্রতিবেশী কয়েকজন যুবক মাহমুদাকে উত্ত্যক্ত করতেন। এ কারণে তিনি বিপর্যস্ত ছিলেন।
মাহমুদা সপরিবারে মিরপুর ১৪ নম্বর সেকশনের ন্যাশনাল হাউজিংয়ে একটি ভবনের চতুর্থ তলায় থাকতেন।
কাফরুল থানার ওসি শিকদার শামীম হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জেনেছেন, রাত ১২টার দিকে মাহমুদা হঠাৎ রান্নাঘর থেকে বঁটি নিয়ে নিজের গলা কাটার চেষ্টা করেন। তাঁর ছোট ছেলে মাহী ওই দৃশ্য দেখে ভয়ে চিৎকার করে ওঠে। চিৎকার শুনে পাশের ঘরে থাকা তাঁদের বড় ছেলে মারুফ ছুটে যায়। মার গলা কাটা দেখে সে তার বাবাকে ডাকে। এ সময় জহির উদ্দিন গোসলখানায় ছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে দেখেন, তাঁর স্ত্রী মাহমুদার নিথর দেহ গলা কাটা অবস্থায় পড়ে আছে।
ওসি বলেন, মাহমুদাকে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞকে দেখানো হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। উত্ত্যক্তের বিষয়টি ঠিক নয়।
তবে বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জহির উদ্দিন ও হাসপাতাল ক্যাম্পের পুলিশ সাংবাদিকদের বলে, প্রতিবেশী কয়েক যুবক মাহমুদাকে উত্ত্যক্ত করতেন। এতে মাহমুদা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। এই পরিস্থিত থেকে রেহাই পেতে তাঁরা বাসা বদলেরও চেষ্টা করছিলেন। এর মধ্যেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল। মাহমুদার গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায়।