সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বুধবারীবাজার ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামে এক গৃহকর্মী শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা ও লুকিয়ে লাশ দাফনের চেষ্টার অভিযোগে গৃহকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে নিহত শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহত শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চার মাস আগে উপজেলার বনগাঁও গ্রামের কামরুল ইসলাম (২১) তাঁর বৃদ্ধা মাকে দেখাশোনার জন্য ৫০০ টাকা মাসিক বেতনে খাদিজা বেগমকে (১০) গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগ দেন। খাদিজার বাবা আলী নূর পেশায় দিনমজুর।
আলী নূর জানান, গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তাঁর মেয়েকে কামরুল হত্যা করেছেন। ঘটনাটি আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালান তিনি। গতকাল সকালে লাশ দাফনেরও চেষ্টা চালান। পরে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতায় গতকাল সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তিনি বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে এসে কামরুলকে গ্রেপ্তার করেছে। ধর্ষণের পর তাঁর মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-প্রশাসন) এ কে এম ফজলুল হক বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না, সেটি পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরই পুরো বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।