বগুড়ার শেরপুর থেকে মালয়েশিয়ায় পাচারের পর ১১ জন নিখোঁজ হওয়ার মামলায় রেহেনা বিবি (৪৫) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে শেরপুর থানার পুলিশ উপজেলার রনবিরবালা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দড়িখাগা গ্রামের মোহাম্মদ আলী মণ্ডল মামলার জন্য আদালতে আরজি জানালে আদালতের নির্দেশে ৫ অক্টোবর শেরপুর থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করা হয়। ছয়জনের মধ্যে রেহেনা বিবি ৪ নম্বর আসামি। রেহেনা ছাড়াও তাঁর স্বামী গাজীউর রহমান (৫৫), জামাতা উপজেলার শালফা গ্রামের মো. রনি (৩০) আসামির মধ্যে রয়েছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন উপজেলার শৈলাপাড়া গ্রামের মো. সবুজ (২৮), দরশিকাপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেন (২৫) ও সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থানার পাঁচগাছি গ্রামের মো. ওয়াহাব (৩৫)।
এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরপুর থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বুলবুল ইসলাম বলেন, গতকাল বুধবার দুপুরে রেহেনাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। গাজীউর রহমান বর্তমানে মালয়েশিয়ায় রয়েছেন। রেহেনা ছাড়া অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
শেরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, রেহেনাকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ওই ১১ জনের নিখোঁজের ঘটনা নিয়ে কিছু তথ্য দিয়েছেন। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মামলার বাদী মোহাম্মদ আলী মণ্ডল বলেন, তাঁর ছেলে মামুনুর রশিদ মণ্ডলসহ (২৩) উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ১১ জনকে মালয়েশিয়ায় ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে গাজীউর রহমানসহ মামলার আসামিরা ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি তাঁর ছেলের সন্ধান পাননি। ছেলেকে ফিরে পেতে তিনি গাজীউর রহমানের স্ত্রী রেহেনা ও মেয়ের জামাই রনির কাছে তিন দফায় আড়াই লাখ টাকা দিয়েছেন। একইভাবে অন্যদের অভিভাবকেরা তাঁদের ছেলেদের সন্ধান ও ফিরে পেতে আসামিদের একই পরিমাণ টাকা দিয়েছেন। ছেলেদের ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও তাঁরা কথা রাখেননি।