৫ টাকা বাড়তি ভাড়ার জন্য স্কুলশিক্ষককে বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয়
চট্টগ্রামে চলন্ত বাস থেকে এক স্কুলশিক্ষককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যাচেষ্টার অভিযোগের মামলায় বাসচালক, তাঁর সহকারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বাসচালক মো. লিটন (৩২), তাঁর সহকারী মো. হোসেন (২৫) ও আরেক সহকারী ১৩ বছর বয়সী এক কিশোর।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম ইউসুফ আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, নগরের অক্সিজেন মোড় থেকে ৮ নম্বর সিটি সার্ভিসের একটি বাসে উঠেছিলেন স্কুলশিক্ষক রহমত উল্লাহ। তাঁর কাছে বাসচালকের সহকারী বাড়তি পাঁচ টাকা ভাড়া দাবি করেন। অতিরিক্ত ভাড়া দাবির প্রতিবাদ করলে স্কুলশিক্ষককে তাঁর শার্টের কলার চেপে ধরে কিল-ঘুষি মারেন বাসচালকের সহকারী। একপর্যায়ে স্কুলশিক্ষককে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলা দেওয়া হয়। গ্রেপ্তার তিন আসামি ঘটনা স্বীকার করেছেন।
গত শনিবার সকালে নগরের বটতলী পুরোনো রেলস্টেশন এলাকায় রহমত উল্লাহকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। তিনি পা, হাত ও মুখে মারাত্মক আঘাত পান। তাঁর বাঁ পা ভেঙে গেছে।
ওই স্কুলশিক্ষক এখন নগরের মেহেদীবাগের ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর জীবনশঙ্কা না থাকলেও সেরে উঠতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক আমজাদ হোসাইন বলেন, ‘রহমত উল্লাহর সুস্থ হতে সময় লাগবে। তাঁর বাঁ পায়ের ওপরের হাড়ে চিড় রয়েছে।’
রহমত উল্লাহ নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার হাবিবউল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি সদরঘাট এলাকার প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) প্রশিক্ষণার্থী।
ঘটনার দিন সকালে পিটিআই যাওয়ার জন্য অক্সিজেন মোড় এলাকা থেকে নিউমার্কেট অভিমুখী একটি বাসে ওঠেন রহমত উল্লাহ। এ সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে বাসচালকের সহকারীর সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তিনি স্টেশন রোডের বটতলী এলাকায় নেমে যেতে চান। কিন্তু তাঁকে নামতে না দিয়ে পুরোনো রেলস্টেশন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চালকের সহকারী রহমত উল্লাহকে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেন। তাঁর পায়ের ওপর দিয়ে বাস চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। আশপাশের লোকজনের সহায়তায় রক্ষা পান তিনি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।