অনিয়মের অভিযোগে জয়পুরহাটের ভাদশা ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থীর ভোট বর্জন
এজেন্ট বের করে দেওয়া, ভোটারদের বাধা দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদশা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হায়দার আলী ভোট বর্জন করেছেন। আজ রোববার দুপুর একটায় তিনি গোপালপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দিয়েছেন।
হায়দার আলী (ঘোড়া প্রতীক) ভাদশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে হায়দার বলেন, ভোটের দুদিন আগে তাঁর এক কর্মীর পাটের গুদাম আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোটের আগের রাতে তাঁর কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছেন নৌকার লোকজন।
তিনি বলেন, রোববার প্রতিটি ভোটকেন্দ্র থেকে তাঁর এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে বহিরাগত লোকজন অবস্থান করছেন। তাঁরা নৌকার প্রার্থীর লোকজন ছাড়া অন্য কাউকে ভোটকেন্দ্রে আসতে দিচ্ছেন না। সকাল দশটার পর সরকারদলীয় প্রার্থীর লোকজন ভোটকেন্দ্র দখল করে ইচ্ছেমতো ভোট দিচ্ছেন। তিনি এসব অভিযোগ জানিয়ে প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলেন। কিন্তু কোনো সমাধান পাননি। এ কারণে ভোট বর্জন করলেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ছারোয়ার হোসেন বলেন, ভাদশা ইউপিতে সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে। ভাদশা ইউনিয়নবাসী হায়দার আলীর সঙ্গে নেই। ভোটে জিততে পারবেন না জেনে আগেই তিনি মাঠ ছেড়ে দিয়েছেন।
জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরাফাত হোসেন বলেন, ভাদশা ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হায়দার আলী ভোট বর্জন করেছেন—এমন কথা তিনি জানেন না। তবে প্রশাসনের কাছে তিনি যখন চেয়েছেন, তখনই সহযোগিতা পেয়েছেন।