সিলেট বিভাগ
অন্তঃকোন্দলে ডুবেছে নৌকা
তৃতীয় ধাপে সিলেট বিভাগের ৭৭ ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে অধিকাংশ ইউপিতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন।
তৃতীয় ধাপে সিলেট বিভাগের চার জেলার ৭৭টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। এর মধ্যে ৩১টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয় পেয়েছেন। আর হেরে গেছেন বিপরীতে ৪৬টি ইউপিতে। ভুল প্রার্থী বাছাই করায় ও দলীয় অন্তঃকোন্দলের কারণে নির্বাচনের ফলাফলে বিপর্যয় ঘটেছে।
ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী আওয়ামী লীগের ৩১ জনের মধ্যে মৌলভীবাজারে ১২ জন, সিলেটে ৯ জন, হবিগঞ্জে ৮ জন ও সুনামগঞ্জে ২ জন রয়েছেন। দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন ১৯ জন। এর মধ্যে মৌলভীবাজারে ৭ জন, সুনামগঞ্জে ৫ জন, হবিগঞ্জে ৪ জন ও সিলেটে ৩ জন আছেন। বিএনপির ১৪ জন নেতা-কর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয় পেয়েছেন।
ফলাফল বিশ্লেষণ করে আরও দেখা গেছে, লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির দুজন বিজয়ী হয়েছেন। তবে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জাপার আরও একজন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একজন ও জাসদের একজন নেতা বিজয়ী হয়েছেন। এর বাইরে নির্দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আটজন জয় পেয়েছেন।
সুনামগঞ্জে সদরের একটিতেও জয় পায়নি আ.লীগ
সিলেট বিভাগের চার জেলার মধ্যে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে খারাপ ফল হয়েছে সুনামগঞ্জে। সুনামগঞ্জের সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার ১৭টি ইউপিতে নির্বাচন হয়। এর মধ্যে সদরের ৯টি ইউনিয়নের কোনোটিতেই আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী জয়ী হতে পারেনি। শান্তিগঞ্জ উপজেলার আট ইউপির মধ্যে মাত্র দুটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয় পেয়েছেন।
হবিগঞ্জে ২১টি ইউপিতে নির্বাচন হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৮টি ও নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউপি। এ জেলায় আওয়ামী লীগের আট প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে দলের চারজন বিদ্রোহী জয় পেয়েছেন। পাশাপাশি স্বতন্ত্র হিসেবে বিএনপির চারজন নেতা-কর্মী এবং নির্দলীয় আরও পাঁচজন বিজয়ী হয়েছেন।
ভালো ফলাফল মৌলভীবাজারে
তুলনামূলকভাবে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভালো ফলাফল করেছেন মৌলভীবাজার জেলায়। এ জেলার বড়লেখা ও কুলাউড়া উপজেলার ২৩টি ইউপির মধ্যে আওয়ামী লীগের ১২ প্রার্থী জয় পেয়েছেন। এ ছাড়া দলটির আরও সাতজন বিদ্রোহী বিজয়ী হয়েছেন। এর বাইরে দুজন করে মোট চারজন বিএনপির নেতা-কর্মী ও নির্দলীয় ব্যক্তি স্বতন্ত্র হিসেবে জয় পেয়েছেন।
সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৬টি ইউপির মধ্যে ৯টিতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয় পেয়েছেন। এর বাইরে দলটির তিনজন বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।