অবশেষে লটারিতে উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে

অনুষ্ঠানস্থলের ফটকে শুয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের পথ আটকায় শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে জামালপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে
ছবি: প্রথম আলো

লটারিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও বয়সের জটিলতার কারণে জামালপুর জিলা স্কুলে ভর্তি হতে না পারা শিক্ষার্থীদের অবশেষে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। আজ বুধবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেওয়া শুরু হয়েছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

বয়সের জটিলতার কারণে জামালপুর জিলা স্কুলের তৃতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণির প্রায় ৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে না পেরে গতকাল মঙ্গলবার একটি অনুষ্ঠানস্থলের ফটকে শুয়ে বিভাগীয় কমিশনারের পথ আটকে দেয়। এ নিয়ে গতকালই প্রথম আলো অনলাইনে ‘মাটিতে শুয়ে বিভাগীয় কমিশনারের পথ আটকাল ভর্তি-বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা’ এবং আজ বুধবার প্রথম পাতায় ‘বয়স জটিলতায় স্কুলে ভর্তি হতে না পেরে মাটিতে শুয়ে প্রতিবাদ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া অন্যান্য গণমাধ্যমেও খবরটি প্রকাশিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ আজ সকাল থেকে ওই শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিতে শুরু করে।

আরও পড়ুন

জামালপুর জিলা স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবক সূত্রে জানা গেছে, ২৫ নভেম্বর তৃতীয় শ্রেণিতে প্রভাতি শাখায় ৫৯ জন ও দিবা শাখায় ৫৬ জন এবং ষষ্ঠ শ্রেণিতে প্রভাতি শাখায় ৪৩ জন ও দিবা শাখায় ৫৩ জনকে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন আহ্বান করা হয়। দুটি শ্রেণিতেই অনলাইনে লটারির মাধ্যমে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার কথা বলা হয়। সেই অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর সারা দেশে একযোগে লটারি হয়। ওই লটারিতে উত্তীর্ণ তৃতীয় শ্রেণির প্রায় ৪০ জন ও ষষ্ঠ শ্রেণির প্রায় ৪০ জনের বয়স-সংক্রান্ত জটিলতা দেখা যায়। নীতিমালা অনুযায়ী, এই শিক্ষার্থীদের বয়স কম হওয়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের ভর্তি নিচ্ছিল না। এমন অবস্থায় ওই সব শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা আন্দোলন শুরু করেছিলেন।

১৫ ডিসেম্বর সারা দেশে একযোগে লটারি হয়। ওই লটারিতে উত্তীর্ণ তৃতীয় শ্রেণির প্রায় ৪০ জন ও ষষ্ঠ শ্রেণির প্রায় ৪০ জনের বয়স-সংক্রান্ত জটিলতা দেখা যায়।

আজ স্কুল প্রাঙ্গণে কয়েকজন অভিভাবক প্রথম আলোকে বলেন, লটারিতে শিক্ষার্থীরা উত্তীর্ণ হয়েছিল। কিন্তু বয়সের কথা বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রথমে ভর্তি নিচ্ছিল না। তাদের অনেক অনুরোধ করা হয়েছিল। স্কুলসংশ্লিষ্ট সবার কাছে যাওয়া হয়েছিল। তারপরও ভর্তি নিচ্ছিল না। পরে সব শিক্ষার্থী ও অভিভাবক ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেন। গত মঙ্গলবার তাঁদের আন্দোলনের খবর প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এতেই স্কুল কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। অনেকটা বাধ্য হয়েই তারা আজ থেকে ভর্তি নিচ্ছে।

দুপুরে জামালপুর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) হালিমা খাতুনের কাছে চলমান ভর্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি রেগে যান। তিনি এ বিষয়ে কোনো রকম কথা বলতে রাজি হননি। এ বিষয়ে তিনি লেখালিখি না করতেও নিষেধ করেন।