অবৈধভাবে গ্রিস যাওয়ার পথে নিখোঁজ বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু

আমিন উল্যাহ
ছবি: সংগৃহীত

জীবিকার তাগিদে তুরস্ক সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে গ্রিসে যাওয়ার সময় নিখোঁজ বাংলাদেশি যুবক মারা গেছেন। অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইস্তাম্বুলের একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে ওই যুবকের ভাই হাসপাতালে গিয়ে লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন। এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি ওই যুবক কয়েকজনের সঙ্গে তুরস্ক থেকে গ্রিস যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন।

ওই যুবকের নাম আমিন উল্যাহ (২৮)। তিনি ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের চর সাহাভিকারী এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। আমিন উল্যাহর ভাই গ্রিসপ্রবাসী সাইফুল ইসলাম মুঠোফোনে মৃত্যুর খবরটি পরিবারকে জানিয়েছেন।

আমিন উল্যাহর বোন নাসিমা আক্তার বলেন, তুরস্ক থেকে গ্রিস যাওয়ার সময় ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে কয়েকজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে, এমন খবর শুনে ইস্তাম্বুলপ্রবাসী আবদুর রহমান হাসপাতালে লাশগুলো দেখতে যান। আবদুর রহমানের বাড়ি সোনাগাজীর চর চান্দিয়া ইউনিয়নের পূর্ব বড়ধলী এলাকায়। পরে হাসপাতালে গিয়ে লাশগুলোর মধ্যে আমিন উল্যাহকে চিনতে পারেন আবদুর রহমান। পরে তিনি আমিন উল্যাহর ভাই সাইফুল ইসলামকে মুঠোফোনে ছবি পাঠিয়ে বিষয়টি জানান।

সাইফুল পরিবারকে জানিয়েছেন, গত ৩১ জানুয়ারি আমিন উল্যাহসহ ২০ জন অবৈধভাবে গ্রিসে ঢুকতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। গ্রিসের পুলিশ তাঁদের দুই দিন আটক রেখে আবার তুরস্কে পাঠায়। তুরস্কে ফেরার সময় আমিন উল্যাহসহ আরও কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁদের ইস্তাম্বুলের হাসপাতালে নেওয়া হয়। গতকাল তিনি হাসপাতালে গিয়ে ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করেছেন। তবে আমিন উল্যাহ কবে মারা গেছেন, সেটা তিনি জানাতে পারেননি।

নাসিমা আক্তার বলেন, আমিন উল্যাহ সিলেটের এক দালালের সঙ্গে ১০ লাখ টাকা চুক্তি করে তুরস্ক সীমান্ত পাড়ি দিয়ে গ্রিসে যাওয়ার চেষ্টা করে একাধিকবার ব্যর্থ হয়েছেন। গত ৩১ জানুয়ারি তিনি চতুর্থবারের মতো গ্রিসে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এর পর থেকে পরিবারের সঙ্গে আমিন উল্যাহর কোনো যোগাযোগ হয়নি।

উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আমিন উল্যাহ নামের তাঁর ইউনিয়নের এক যুবক গ্রিস যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন বলে তিনি শুনেছেন। তবে এ বিষয়ে তাঁকে নিহতের পরিবার বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি।