অর্থ সহায়তা চাওয়ার ভান করে ছুরি চালালেন পরিবহন ব্যবসায়ীর পেটে

বরিশালে পেটে ছুরিকাহত ব্যবসায়ীকে হাসপতালে পাঠানো প্রক্রিয়া চলছে
প্রথম আলো

বরিশালে সাহায্য চাওয়ার ভান করে এক পরিবহন ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। তাঁকে মুমূর্ষু অবস্থায় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বরিশাল নগরের পুলিশ লাইনস সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তির নাম শামীম মুনসি (৪৫)। তিনি নগরের আলেকান্দা কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আবদুল জলিল হাওলাদার নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। জলিল বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকার কাদের হাওলাদারের ছেলে এবং নগরের সিঅ্যান্ডবি রোডের থানা কাউন্সিল–সংলগ্ন মিয়া বাড়ির পুল এলাকার বাসিন্দা।

জলিল নামের ওই ব্যক্তি মোটরসাইকেল থামিয়ে সাহায্যের জন্য টাকা চান। এ সময় শামীম পকেট থেকে টাকা বের করতে গেলে হঠাৎ পেটের ডান পাশে ছুরিকাঘাত করেন জলিল।

আহত ব্যবসায়ীর বড় ভাই মো. নুরুজ্জামান বলেন, সকালে তাঁর ছোট ভাই শামীম বাসা থেকে মোটরসাইকেলে করে ব্যবসায়িক কাজে বের হন। পুলিশ লাইনস এলাকায় পৌঁছালে জলিল নামের ওই ব্যক্তি মোটরসাইকেল থামিয়ে সাহায্যের জন্য টাকা চান। এ সময় শামীম পকেট থেকে টাকা বের করতে গেলে হঠাৎ পেটের ডান পাশে ছুরিকাঘাত করেন জলিল। এতে শামীম মোটরসাইকেল থেকে পড়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। তাঁর ডাক-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে শামীমকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

বরিশালের ভরঘুরে বেশে ব্যবসায়ীর পেটে ছুরি চালানোর পর আটক আবদুল জলিল
প্রথম আলো

বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. লোকমান হোসেন বলেন, শামীম শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তাঁর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।

পরিদর্শক লোকমান হোসেন আরও জানান, অভিযুক্ত জলিলের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে, তাঁর মানসিক কোনো সমস্যা রয়েছে। তিনি নিজেকে ‘মেজর জলিল’ বলেও পরিচয় দিচ্ছেন। তারপরও তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিমুল করিম বলেন, ভবঘুরে ধরনের চল্লিশোর্ধ্ব ওই ব্যক্তি জিজ্ঞাসাবাদে অসংলগ্ন কথা বলছেন। তবে এ ঘটনায় মামলা হবে।