অস্থায়ী গরুর হাটের অনুমোদন প্রশাসনের, মেয়রের আপত্তি

ফাইল ছবি

ফরিদপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী টেপাখোলা গরুর হাটের দেড় কিলোমিটারের মধ্যে ডিক্রিরচর ইউনিয়নে পদ্মা নদীর পাড়ে সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকায় ঈদুল আজহা উপলক্ষে একটি অস্থায়ী গরুর হাটের অনুমোদন দিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।

এ সম্পর্কে ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস বলেন, টেপাখোলার হাটটি একটি ঐতিহাসিক হাট। পাশাপাশি এটি পৌরসভার আয়ের বড় উৎস। ওই হাট থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে সিঅ্যান্ডবি ঘাটে হাট বসানো হচ্ছে। প্রায় বিনা মূল্যে অনুমোদন দেওয়ার অর্থ টেপাখোলা গরুর হাটকে ক্ষতিগ্রস্ত করা। হাট থেকে ইজারাদারের টাকা না উঠলে ভবিষ্যতে আর কেউ হাট ইজারা নিতে রাজি হবে না। শতবর্ষের এই গরুর হাটের কাছে বিনা মূল্যে একটি হাট বসানো মানে হাটটি ধ্বংস করা।

শতবর্ষের প্রাচীন ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা গরুর হাট। এ হাটে ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার পাশাপাশি আশপাশের জেলার ক্রেতারাও গরু কিনতে আসেন। গুরুত্ব থাকায় প্রতিবছরই বেড়েছে ইজারা মূল্য। ফরিদপুর পৌরসভা পরিচালিত হাটটি চলতি ১৪২৮ বাংলা সনের জন্য ৬ কোটি ১১ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছেন শ্রাবণী কনস্ট্রাকশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান।

গত জুনের শেষে পদ্মা নদীর পাড়ে সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকায় একটি অস্থায়ী গরুর হাট ইজারা দেওয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করে জেলা প্রশাসন। সিঅ্যান্ডবি ঘাট ফরিদপুর পৌরসভার বাইরে ডিক্রিরচর ইউনিয়নে অবস্থিত। ওই দরপত্র অনুযায়ী গত ২২ জুন সিঅ্যান্ডবি ঘাটের অস্থায়ী হাটটির ইজারা পান আলমগীর হোসেন। তিনি ডিক্রিরচর ইউপির চেয়ারম্যান মেহেদী হাসানের ভাই।

সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকায় অস্থায়ী গরুর হাটের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে মেয়রের কাছে চিঠি দিয়েছেন টেপাখোলা গরুর হাটের ইজারাদার সিদ্দিকুর রহমান। চিঠিতে বলা হয়, কাছাকাছি দুটি গরুর হাট হলে তাঁরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তবে ১৫ জুলাই থেকে সিঅ্যান্ডবি ঘাটের অস্থায়ী গরুর হাটে গরু বিক্রির অনুমোদন দেওযাহয়।

জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘অস্থায়ী হাটটি অনুমোদন দিয়ে ফেলেছি। এখন তো পিছিয়ে আসার সুযোগ নেই। টেপাখোলা গরুর হাট নিয়ে এখন যে কথাগুলো বলা হচ্ছে, তা আগে আমাকে বললে অনুমোদন না দেওয়ার সুযোগ ছিল।’