জামালপুর সদর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মেষ্টা ইউনিয়নে দ্বিতীয় দফায় দেওয়া আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন নিয়ে বিবাদ শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে যুবদল নেতা আখ্যা দিয়ে তাঁর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাসহ মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীরা।
আজ বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের জামালপুর-সরিষাবাড়ী সড়কের চেয়ারম্যান মোড়ে প্রথমে মানববন্ধন হয়। ঘণ্টাব্যাপী চলে মানববন্ধন। পরে সড়ক অবরোধ করে দ্বিতীয় দফায় দেওয়া মনোনীত প্রার্থী মো. বদরুল হাসানকে ছাত্রদল ও যুবদল নেতা আখ্যা দিয়ে তাঁকে বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করা হয়। এতে অংশ নেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জামালপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সুজায়েত আলী ফকির, মুক্তিযোদ্ধা বাচ্চু খান, মেষ্টা ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহসভাপতি জয়নাল আবেদীন, ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনোজ্জল হোসেন, স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল করিম, হেলাল উদ্দিন, ছানোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ছানোয়ার হোসেনকে বাদ দিয়ে দ্বিতীয় দফায় যুবদল থেকে অনুপ্রবেশকারী বদরুল হাসানকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বদরুল হাসান ছাত্র ও যুবদলের সক্রিয় নেতা ছিলেন। ১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সদস্য ও ইউনিয়ন যুবদলের নেতা ছিলেন। ঢাকায় বসবাস করেন। যুবদল থেকে যুবলীগে অনুপ্রবেশ করেন বদরুল হাসান। ছানোয়ারকে বাদ দিয়ে যুবদল নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় ইউনিয়নবাসী চরম ক্ষুব্ধ। এ কারণে তাঁকে বাদ দেওয়ার দাবি করা হয়।
নাম গোপন রাখার শর্তে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বলেন, বদরুল হাসানের পুরো পরিবার বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি কখনো এলাকায় ছিলেন না। তিনি ঢাকায় বসবাস করেন। কোনো নেতার সঙ্গে তাঁর পরিচয় নেই। যুবদল থেকে কীভাবে যেন যুবলীগে প্রবেশ করেন। একজন অনুপ্রবেশকারীকে ইউনিয়নবাসী কখনোই মেনে নেবেন না। এ কারণে অনুপ্রবেশকারীকে বাদ দিয়ে অন্য যে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ওই প্রার্থীর সঙ্গে থাকবে।
প্রসঙ্গত, মেষ্টা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রথমে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে এক নারী শিক্ষককে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠলে এক দিন পর তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। পরে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় বদরুল হাসানকে।
এ ব্যাপারে কথা বলতে বদরুল হাসানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি তা ধরেননি।