আখাউড়ায় করোনার টিকা নিতে ভিড়, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

প্রতিদিনই টিকা নিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় জমাচ্ছেন। অতিরিক্ত মানুষের চাপে টিকাকেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছে না।
ছবি: প্রথম আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় করোনার প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে করোনার টিকার প্রতিও সাধারণ মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। প্রতিদিনই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা নিতে বিপুলসংখ্যক মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। ফলে টিকাকেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। এদিকে টিকা নিতে আসা বিপুলসংখ্যক মানুষকে সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের টিকাকেন্দ্রের সামনে সকাল থেকে অবস্থান করে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ টিকা নিতে আসছেন। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে তাঁদের টিকার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও অনেকে টিকা দিতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ মানুষ টিকা নিতে আসছেন।

পৌর শহরের দেবগ্রাম থেকে সপরিবার টিকা নিতে এসেছেন সোহেল দেওয়ান। তিনি বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে অপেক্ষায় আছি। এখন দুপুর ১২টা বাজে। কিন্তু সিরিয়াল পাইনি। মাত্র একটি বুথের মাধ্যমে টিকা দেওয়ার জন্য এত ভোগান্তি হচ্ছে। এখানে আরও দু-তিনটি বুথ থাকলে এত গাদাগাদি হতো না।’

এ সময় বেশির ভাগ মানুষের মুখেই মাস্ক ছিল না। সামাজিক দূরত্ব মানার ব্যাপারেও উদাসীনতা দেখা যায়। কেন মাস্ক ব্যবহার করছে না—এমন প্রশ্নের জবাবে কয়েকজন বলেন, প্রচণ্ড গরম আর ভিড়ের কারণে মাস্ক মুখে রাখতে সমস্যা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাশেদুর রহমান বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। প্রথম দিকে মানুষের তেমন আগ্রহ না থাকলেও এখন প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ মানুষ টিকা নিচ্ছেন। প্রতিদিন এত মানুষকে টিকা দিতে গিয়ে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে টিকার বুথ বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। আগামী ৮ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তখন মানুষের চাপ কিছুটা কমবে বলে আশা করছি।’