আনসার আল ইসলামের চার সদস্য গ্রেপ্তার

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। র‍্যাব-৬ খুলনার সদস্যরা গতকাল শনিবার যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ভোজগাতী ইউনিয়নের চালকিডাঙ্গি গ্রাম থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

আজ রোববার র‍্যাব-৬ খুলনার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (লিগ্যাল ও মিডিয়া) ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. বজলুর রশীদ স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মনিরামপুর উপজেলার আবদুল্লাহ আল গালিব (২৪) ও মুহাম্মদ আলী শেখ (২১), সদর উপজেলার মো. জাফর হোসেন ওরফে শিমুল খান (২১) এবং নাদির হোসেন (৩০)। তাঁদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, পাঁচটি মুঠোফোন এবং কিছু উগ্রবাদী নথিপত্র উদ্ধার করেছে র‍্যাব।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল মনিরামপুরের চালকিডাঙ্গি গ্রামে বৈঠক চলার সময় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আবদুল্লাহ আল গালিব একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের ছাত্র। ২০১৯ সালে আনসার আল ইসলামের আধ্যাত্মিক নেতা জসিম উদ্দিন রহমানির অডিও লেকচার শুনে তিনি উগ্রপন্থী জঙ্গি কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ হন। পরে তিনি আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য হন।

মুহাম্মদ আলী শেখ ২০২০ সালে ছাত্র থাকা অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের উগ্রপন্থী বই ও বক্তৃতার প্রতি কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। পরে তিনি ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি শুরু করেন। এ সময় তিনি আনসার আল ইসলামের আধ্যাত্মিক নেতা জসিম উদ্দিন রহমানির বয়ান এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের চ্যানেল সম্পর্কে জানতে পারেন। পরে তিনি আনসার আল ইসলামের একজন সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠেন। জাফর ২০১৯ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা শুরু করেন। সেখানে তাঁর পরিচয় হয় জঙ্গি মুহাম্মদ আলী শেখের সঙ্গে। পরে জসিম উদ্দিন ও শায়েক তামিম আল আদনানের উগ্রবাদী বক্তব্য শুনে তিনি অনুপ্রাণিত হন। এরপর তিনি আনসার আল ইসলামের একজন সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠেন।

নাদির হোসেন প্রাথমিকভাবে জসিম উদ্দিনের জঙ্গিবাদ বক্তৃতায় উদ্বুদ্ধ হন এবং আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কার্যক্রম শুরু করেন।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে র‍্যাব বাদী হয়ে আজ রোববার বিকেলে মামলা করেছে।