স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পটুয়াখালী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও গঠনতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সুপারিশের ভিত্তিতে গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ৩৪-এর গ উপধারা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরীর নির্দেশক্রমে তাঁকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলো।
বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. শাহানুর হক প্রথম আলোকে বলেন, পটুয়াখালী শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিবু লাল দাস অপহরণ ও উদ্ধারের পর পুলিশ অপহরণ মামলায় আতিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। এরপর দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
১১ এপ্রিল রাত সাড়ে আটটার দিকে জেলার গলাচিপা আমখোলা থেকে নিজের গাড়িতে করে বাড়ি ফেরার পথে শিবু লাল দাস ও তাঁর গাড়িচালক মিরাজ অপহরণের শিকার হন। এরপর রাত দুইটার দিকে শিবু লাল দাসের মুঠোফোন দিয়ে তাঁর স্ত্রীর মুঠোফোনে ২০ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি।
পরের দিন রাত সাড়ে ১০টায় শহরের কাজীপাড়া এলাকার এসপি কমপ্লেক্স নামে একটি শপিং সেন্টারের ভূগর্ভস্থ অংশ থেকে হাত-পা বাঁধা ও মুখমণ্ডলে স্কচটেপ দিয়ে আটকানো অবস্থায় শিবু লাল দাসকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় গাড়িচালক মিরাজকেও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিবু লাল দাসের ছেলে বুদ্ধদেব দাস ১৩ এপ্রিল সদর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহরণে জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আতিকুর রহমান (৩২), শামিম আহমেদ (৩৯), আক্তারুজ্জামান (৩২), মো. মিজানুর রহমান ওরফে সাবু গাজী (৪০), মো. বেল্লাল (৪১) ও মো. সাব্বির হোসেন ওরফে জুম্মান (২২)। গ্রেপ্তার আতিকুর রহমানের দলীয় পরিচয় প্রকাশ পাওয়ার পর আজ তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।