ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন: সাতক্ষীরায় নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ৫০
সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত বংশীপুর বাসস্ট্যান্ডে থেমে থেমে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়েছে।
আহত ৩০ জনকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আগামী ৫ জানুয়ারি ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হওয়ার কথা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নৌকার প্রতীকের প্রার্থী শোকর আলী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদেকুর রহমানের কর্মী-সমর্থকেরা মিছিল বের করেন। বংশীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে দুই পক্ষ মিছিল নিয়ে এলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের এক শর বেশি কর্মী-সমর্থক বংশীপুর বাসস্ট্যান্ডের বিভিন্ন অংশে অবস্থা নিয়ে পরস্পরের দিকে ইট, পাথর নিক্ষেপ করতে থাকেন। খবর পেয়ে শ্যামনগর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে আটটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ সময় সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে ও লাঠিপেটা করে। রাবার বুলেটে আহত হন ১০ জন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদেকুর রহমানের ভাই আবদুল ওহাব বলেন, শান্তিপূর্ণ মিছিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রতীকের শোকর আলীর কর্মী-সমর্থকেরা। এতে তাদের ২৫ থেকে ৩০ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন।
জিএম শোকর আলীর কর্মী হাবিবুর রহমান বলেন, সাদেকুর রহমানের কর্মী-সমর্থকেরা কোনো উসকানি ছাড়া তাদের নির্বাচন অফিসে হামলা চালিয়েছে। দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ৩০ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন।
শ্যামনগর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার তরিকুল ইসলাম বলেন, আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ কয়েকজনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলা হয়েছে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে রাবার বুলেট ছোড়ার বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হতে হবে।